বরিস-আতঙ্কে মন্ত্রিসভা

বরিস জনসন  ও ফিলিপ হ্যামন্ড
বরিস জনসন ও ফিলিপ হ্যামন্ড

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের প্রধান কে হচ্ছেন, তা স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার দুপুরে জানা যাবে। গতকাল সোমবার ভোটাভুটি শেষ হয়েছে। এদিকে কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন, এমন খবরে আতঙ্ক বিরাজ করছে বর্তমান মন্ত্রিসভায়। তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে মন্ত্রিসভা ছাড়বেন বলে এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন শীর্ষ দুই মন্ত্রী। এ ছাড়া গতকাল একজন প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) কার্যকরে বরিসের কঠোর অবস্থানের বিরোধিতা করে রোববার যে দুজন মন্ত্রিপরিষদ ছাড়ার ঘোষণা দেন, তাঁরা হলেন অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড ও বিচারবিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড গোয়েক। গতকাল পদত্যাগ করেন পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী অ্যালান ডানকান।

ব্রেক্সিট কার্যকর করা নিয়ে সৃষ্ট গৃহবিবাদের জেরে কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। গত ৭ জুন তিনি দলীয় প্রধানের পদ ছাড়েন। আগামীকাল বুধবার বাকিংহাম প্রাসাদে রানির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন মে।

কনজারভেটিভ পার্টি সূত্র বলেছে, নেতা নির্বাচনে দলের তৃণমূল পর্যায়ের প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার সদস্য ব্যালটের মাধ্যমে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। নেতা হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট। গতকাল স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় ব্যালট জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল। আজ দুপুরে জানা যাবে কে হচ্ছেন থেরেসা মের উত্তরসূরি।