নারীর পেটে দেড় কেজি গয়না ও ৯০ মুদ্রা

পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীর পাকস্থলী থেকে দেড় কেজির বেশি অলংকার ও একগাদা ধাতব মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বীরভূমের একটি সরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বরাতে ভারতের সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভির খবরে এ কথা জানানো হয়।

রামপুরহাট সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শল্যচিকিৎসা বিভাগের প্রধান সিদ্ধার্থ বিশ্বাস জানান, অস্ত্রোপচার করে ২৬ বছর বয়সী ওই নারীর পাকস্থলী থেকে ৫ ও ১০ রুপি সমমানের প্রায় ৯০টি ধাতব মুদ্রা এবং গলার হার, নাকফুল, কানের দুল, বালা, নূপুর, রিস্ট ব্যান্ড ও ঘড়ি বের করা হয়েছে।

অস্ত্রোপচারের পর সিদ্ধার্থ বিশ্বাস বলেন, ‘ওই নারীর পাকস্থলীতে ৯০টি মুদ্রা পেয়েছি। উদ্ধার করা গয়নার বেশির ভাগই তামা ও পিতলের তৈরি, তবে বেশ কিছু স্বর্ণালংকারও ছিল।’

ওই নারীর মায়ের ভাষ্য, মরগ্রাম থানার অধীনে একটি গ্রামে থাকেন তাঁরা। কিছুদিন ধরে লক্ষ করছিলেন, ঘর থেকে গয়না উধাও হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে মানসিকভাবে সুস্থ নয়। কিছুদিন ধরে খাওয়ার পরপরই বমি করছিল সে।’

মেয়েটি মুদ্রাগুলো ভাইয়ের দোকান থেকে পেয়েছে বলে জানান তাঁর মা। তিনি বলেন, ‘গয়না গায়েব হয়ে যাচ্ছে, ব্যাপারটা টের পাচ্ছিলাম। কিন্তু যখনই মেয়েটাকে কিছু জিজ্ঞেস করতাম, ও কান্না শুরু করত। আমরা সব সময় ওকে চোখে চোখে রাখতাম। কিন্তু কোনো এক ফাঁকে এগুলো গিলে ফেলেছে ও। প্রায় দুই মাস ধরে মেয়েটার শরীর ভালো যাচ্ছে না। বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলেও কাজ হয়নি। ওকে ওষুধের পর ওষুধ খাইয়েই যাচ্ছিলাম, কিন্তু তাতে অবস্থার কোনো উন্নতি হচ্ছিল না।’

পরবর্তী সময়ে ওই নারী বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গতকাল তাঁর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।