লিবিয়া উপকূলে দেড় শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর আশঙ্কা

প্রতি বছরই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাত্রা করেন অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে প্রায়ই নৌযান ডুবে ঘটছে প্রাণহানি। ছবি: এএফপি
প্রতি বছরই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাত্রা করেন অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে প্রায়ই নৌযান ডুবে ঘটছে প্রাণহানি। ছবি: এএফপি

লিবিয়া উপকূলে নৌযান ডুবে দেড় শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ হয়েছেন। একই ঘটনায় দেড় শ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ১২০ কিলোমিটার পূর্বের আল খোমস বন্দর থেকে অভিবাসীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে নৌযানটি। তিন শতাধিক আরোহী নিয়ে নৌযানটি ডুবে যায়। এরপর কোস্টাগার্ড ১৫০ জনকে উদ্ধার করে। বাকিরা নিখোঁজ রয়েছেন। তারা মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ বছর এটাই ভূমধ্যসাগরে ঘটা সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে গত মে মাসে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে ৬৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী প্রাণ হারিয়েছিলেন।

প্রতি বছর লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অসংখ্য অভিবাসনপ্রত্যাশী ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ইউএনএইচসিআরের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালের প্রথম চার মাসে লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার পথে ১৬৪ জন মানুষ সমুদ্রে প্রাণ হারান।

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে প্রায় ১৬ হাজার শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশী ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে পাড়ি জমিয়েছেন। গত বছরের শুরুর তিন মাসের তুলনায় যা প্রায় ১৭ শতাংশ কম। এই হার কমে আসার পেছনে কাজ করেছে নতুন একটি নীতি। সমুদ্রে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধার করা হলে তাঁদের আবার লিবিয়ায় ফেরত পাঠাতে বাধ্য করছে ইতালি। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ নীতির নিন্দা জানিয়েছে। জাতিসংঘও বারবার বলেছে, ভূমধ্যসাগরে উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পুনরায় লিবিয়ায় ফেরত পাঠানো উচিত নয়। লিবিয়ায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের যেমন অমানবিক পরিস্থিতিতে জীবনধারণ করতে হয়, সেটি বিবেচনায় নিয়েই তাঁদের লিবিয়ায় ফেরত পাঠানোর বিপক্ষে মত দেয় জাতিসংঘ।