মমতাই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির উত্থানের বীজ বপন করেছেন

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়টার্স ফাইল ছবি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়টার্স ফাইল ছবি

পশ্চিমবঙ্গে বাম ফ্রন্টকে ক্ষমতা থেকে হটাতে যে নেতিবাচক রাজনীতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করেছিলেন, তার পরিণতিতেই এবার লোকসভা নির্বাচনে সেখানে বিজেপির উত্থান হয়েছে বলে মনে করেন রতন খাসনবিশ। কার্ল মার্ক্সের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সম্প্রতি বাংলার পাঠশালা আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে এসেছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাবেক এই অধ্যাপক। তখন এক আলাপে এ কথা বলেন তিনি।

রতন খাসনবিশ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে সুবিধাবাদী রাজনীতির দ্বার খুলে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আগে পশ্চিমবঙ্গে দুই ধারার রাজনীতি ছিল: একটি কংগ্রেসি রাজনীতি, আরেকটি বাম রাজনীতি। কংগ্রেস রাজনীতিতে অনেক গোলমাল করলেও ধর্ম নিরেপক্ষতার প্রশ্নে আপস করেনি। এ ব্যাপারে সিপিএমের সঙ্গে তাদের মিল ছিল। সিপিএম বা বাম ফ্রন্টের রাজনীতির গোড়ার কথা ছিল, তারা কখনো ধর্ম বা সম্প্রদায়ভিত্তিক রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেবে না। জ্যোতি বসু বিজেপিকে বর্বরের দল আখ্যা দিয়েছিলেন। ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর যে শিখবিরোধী দাঙ্গা হয়েছিল, জ্যোতি বসু সেনাবাহিনী নামিয়ে তা এক দিনে দমন করেছিলেন। বাবরি মসজিদ ভাঙার সময় যে দাঙ্গা শুরু হয়, তা–ও পশ্চিমবঙ্গে তিন দিনের বেশি স্থায়ী হয়নি। সিপিএমের কর্মীরা প্রথমে পুলিশ ও পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিন দিনের মধ্যে সেই দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে আনেন।

কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাড়াতাড়ি ক্ষমতায় আসার জন্য দুটি ধর্মকেই উসকাতে শুরু করেন। এই প্রসঙ্গে রতন খাসনবিশ বলেন, তসলিমা নাসরিনকে কলকাতা থেকে তাড়ানোর জন্য একজন মুসলিম ধর্মীয় নেতা উসকানি দিচ্ছিলেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তখন বিপণ্ন বোধ করে তসলিমাকে নিরাপত্তা দেওয়ার নানা চেষ্টা করেন। এই সময় ইদ্রিস আলী নামের কলকাতার একজন তসলিমাকে তাড়ানোর জন্য ভাঙচুর শুরু করেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সমর্থন দিয়ে বসেন। এই ইদ্রিস পরবর্তী সময়ে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সাংসদও হন। এই উসকানি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় বলেই তাঁর মত।

মমতার জমানায় গত আট বছরে কী ঘটল যে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির এমন উত্থান ঘটল—এই প্রশ্নের জবাবে রতন খাসনবিশ বলেন, গত আট বছরে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি প্রচারকের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু মমতা তাঁদের আটকাননি। অর্থাৎ, এখানেও তিনি পরোক্ষে ধর্মীয় উসকানি দিলেন। আবার মুসলিম ধর্মান্ধ ব্যক্তিরা বললেন, মুসলমানদের সংখ্যা বাড়ছে এবং তাঁদের শাসন ক্ষমতার ভাগ দিতে হবে। কিন্তু ব্যাপারটা তো এভাবে হয় না। মমতা এঁদেরও আটকালেন না, বরং ধর্মগুরুদের ভাতা দেওয়া শুরু করলেন। যদিও ২০০ টাকা ভাতায় কিছু আসে–যায় না। উল্টোদিকে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের বিপণ্নতার বোধ তৈরি করেছে এ কথা বলে যে মমতা মুসলমানদের তোয়াজ করছেন।

এবারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বামদের ভোট বিজেপির ঘরে গেছে বলে জোর প্রচার আছে, এই প্রসঙ্গে তুললে রতন খাসনবিশ কিছুটা ভিন্নচিত্র হাজির করেন। তিনি বলেন, বামপন্থীদের ভোট সব ‘জয় শ্রীরামের’ ঘরে যায়নি। সেটা বরং সাম্প্রদায়িক লাইনে ভাগ হয়ে গেছে, যা আরও খারাপ। ভারতের হিন্দু পত্রিকা ভোট–উত্তর এক জরিপ করেছে। যাঁরা গতবার সিপিএমে ভোট দিয়েছিলেন, সেই ভোট কোথায় গেছে—এটা অনুসন্ধান করতে গিয়ে তারা দেখল, সিপিএমের ১৫টি ভোটের মধ্যে ১ থেকে ১১টি ভোট সরে গেছে। এর মধ্যে ৬টি গেছে বিজেপিতে আর ৫টি গেছে তৃণমূলে। এলাকা ধরে ধরে দেখা গেছে, মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার ভোটগুলো তৃণমূলে গেছে। এঁরা বিপণ্ন বোধ করে তৃণমূলে ভোট দিয়েছেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি

তবে পশ্চিমবঙ্গের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এই ভোট ধরে রাখতে পারবে না বলে মনে করেন রতন খাসনবিশ। কারণ, তার সংগঠন নেই। তৃণমূলের ওপর আস্থা রাখতে না পেরে সংখ্যালঘু ভোটাররা শেষমেশ কংগ্রেস ও বাম ফ্রন্টে ফিরবেন বলেই তাঁর ধারণা।

অন্যদিকে ‘জয় শ্রীরাম’ উত্তর ভারতের প্রপঞ্চ। বাঙালির কাছে এর আকর্ষণ নেই। সাংস্কৃতিকভাবে বাঙালি হিন্দুরা দুর্গার ভক্ত। ফলে বিজেপি ‘জয় শ্রীরাম’ দিয়ে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন করতে চাইলেও তা খুব একটা ফলপ্রসূ হবে না। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মধ্যে ঢিলেঢালা হিন্দুত্ব থাকলেও তারা বিজেপির কট্টর হিন্দুত্বের পথে পা বাড়াবে না বলেই রতন খাসনবিশের মত।

পশ্চিমবঙ্গের সিপিএমের পার্টি নেতৃত্বে নিম্নবর্ণের হিন্দু বা মুসলমানদের তেমন অংশগ্রহণ ছিল না। বিজেপি কি সেই নিম্নবর্ণের হিন্দুদের হিন্দুত্বের বাতাবরণে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে? জবাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই অধ্যাপক বলেন, সিপিএমের অপারেশন বর্গা ও ভূমি সংস্কার কর্মসূচিতে নিম্নবর্গের মানুষ ব্যাপক উপকৃত হয়েছে। শুধু নিম্নবর্গের হিন্দুরাই নয়, মুসলমানেরাও উপকৃত হয়েছে। এরা নিম্নবর্গ হিসেবে উপকৃত হয়েছে। ফলে এসব ভোট স্বাভাবিকভাবেই সিপিএমের ঘরে এসেছে।

অন্যদিকে নিম্নবর্গের মানুষ কিন্তু সিপিএমের নেতৃত্বের পর্যায়ে উঠে আসতে শুরু করেছিল। অনিল বিশ্বাস কলকাতায় পার্টির নেতা হয়েছিলেন। তিনি কিন্তু তফশিলী সম্প্রদায়ের মানুষ হিসেবে নেতা হয়েছিলেন, তা নয়। পার্টির সাধারণ প্রক্রিয়ায় উঠে এসেছিলেন। আগে উচ্চবর্ণের লোকজন পড়াশোনা করে পার্টি করতে আসত। তারা লড়াই করে আসত না। এরপর লড়াকু মানুষ উঠে আসতে শুরু করে। বর্গের দিক থেকে দেখলে এরা গরিব মানুষ। আর বর্ণের দিক থেকে দেখলে এরা নিম্নবর্ণের মানুষ। এই যে বর্ণকে বর্গ দিয়ে ধরা, এটিকে আমি সিপিএমের রাজনীতির অত্যন্ত ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখতে চাই। মানুষকে বর্ণ বিভাজনের সুবিধা নিতে দেওয়া উচিত নয়।

রতন খাসনবিশ বলেন, তবে বামপন্থীদের যে ভুল ছিল না, তা নয়। অনেক জায়গায় নেতৃত্বের পথ রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তাঁদের স্খলন হয়েছে, পতন হয়েছে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে বাম রাজনীতির আদর্শে খাদ নেই। বামেরা সংকুচিত হলে পশ্চিমবঙ্গের আদর্শিক বা সাংস্কৃতিক ভূমিটা হারিয়ে যাবে, সেটাই সবচেয়ে বড় শঙ্কার কারণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের এই রাজনৈতিক সংস্কৃতির ভিত্তিগুলো ভেঙে ফেলেছেন।

অধ্যাপক খাসনবিশের মতে, পশ্চিমবঙ্গে একটি উদার সাংস্কৃতিক পাটাতন তৈরি হয়েছিল। মুসলমানেরা সেখানে নাগরিক ছিল, সংখ্যালঘু নয়। এটি জওহরলাল নেহরুর রাজনীতি, ভারতের বামপন্থীরা সেই রাজনীতিকে সম্মান করেছেন। এটি সংস্কৃতি। কিন্তু বিজেপি তাদের সংখ্যালঘু করতে চায়। আবার বাংলাদেশের হিন্দুদের দেখলে মনে হয়, তারা সংখ্যালঘু, নাগরিক নয়। ভারতের মুসলমানেরা যে সব ক্ষেত্রে এই সম–অধিকার পেয়েছে, তা নয়। অনেক জায়গায় তাদের ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। যেমন কর্মসংস্থানে তারা পিছিয়ে আছে। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষিত মুসলমানেরা দেশভাগের সময় পূর্ব পাকিস্তান বা আজকের বাংলাদেশে চলে যায়। এরা নিজ সম্প্রদায়কে নেতৃত্ব দিতে পারত। যারা থেকে গেল, তাদের বেশির ভাগই ছিল চাষি বা মজুর শ্রেণির মানুষ। শিক্ষা-দীক্ষায়ও পিছিয়ে ছিল তারা। এসব কারণেও মুসলমানেরা পিছিয়ে পড়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদের শিক্ষায় জোর তো দেননি, বরং অনেক অশিক্ষিত মানুষকে মুসলমান সম্প্রদায়ের নেতা বানিয়েছেন। ব্যাপারটা হলো, কংগ্রেস বা বাম ফ্রন্টের রাজনীতিতে বর্ণ বা সম্প্রদায় প্রপঞ্চের উপস্থিতি ছিল না। বিজেপি এখন এসব টেনে নিয়ে আসছে।

কিন্তু এসব ঠেকাতে সিপিএম কি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পেরেছে বলে মনে করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে রতন খাসনবিশ বলেন, সিপিএম অনেকবার এসব প্রসঙ্গ তুলেছে। কিন্তু মমতার কাছে সিপিএমই প্রধান শত্রু। তিনি ইদ্রিস আলীকে দিয়ে সিপিএম ঠেকানোর রাজনীতি শুরু করেন। আর একবার জোয়ার শুরু হলে সবকিছু ভেসে যায়, তবে একসময় ভাটাও আসবে।

অমিত শাহ
অমিত শাহ

বিজেপির অর্থনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে অনেক মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। মেক ইন ইন্ডিয়ার ব্যর্থতা, জিএসটি, বড় নোট বাতিল—সবকিছু নিয়েই সমালোচনা আছে। চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতাও আছে। অন্যদিকে তার প্রবৃদ্ধির হার কমছে। এই পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদির অর্থনেতিক কর্মসূচি ভারতকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে পারবে না বলেই মনে করেন অর্থনীতির এই অধ্যাপক। রতন খাসনবিশ বলেন, চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হলে ভারতকে নয়া উদারনীতিবাদী অর্থনীতির কোনটা কাজে লাগানো যায় আর কোনটা যায় না, তা আগেই ঠিক করতে হবে। চীন ঠিক এই কাজই করেছে। তারা রপ্তানি উন্মুক্ত করে এবং বিদেশি বিনিয়োগ এনে বিপুল সংখ্যক মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে এনেছে। আর ভারত নয়া উদারনীতিবাদ কাজে লাগিয়ে ধনীকে আরও ধনী করেছে। প্রমাণ হলো, বিজয় মালিয়া, নীরব মোদি, মুকেশ আম্বানি। বিশেষ করে আম্বানিদের রিলায়েন্স গ্রুপের হিসাব তদন্ত করলে দেখবেন, নয়া উদারনীতিবাদের সব সুবিধা তারা নিয়ে গেছে। মোদির নীতিতে এদের আটকানোর লক্ষ্য নেই, তাঁর নীতি হচ্ছে, এদের আরও বাড়বাড়ন্ত করা। সরকারি টেলিফোন বিএসএনএলের কথা বলা যায়। এই সংস্থাকে খোঁড়া করা হলো। এখন মুকেশ আম্বানির টেলিযোগাযোগ কোম্পানি জিও বিএসএনএলকে জলের দরে কেনার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। কংগ্রেসও এদের পালে হাওয়া দিয়েছে। মুম্বাইয়ে আম্বানিদের ২৭ তলা বাড়ি আনটিলায় যে জল লাগে, পুরো বিদর্ভ সেই পরিমাণ জল পায়। বৈষম্য এই পর্যায়ে উঠেছে।

অধ্যাপক খাসনবিশ বলেন, আর এই বড় বুর্জোয়ারা যদি স্বজনতোষী (ক্রোনি) হয়, তাহলে ভারতে যে শিল্প দাঁড়ানোর কথা, তা–ই দাঁড়িয়েছে। চীনের ৪০ শতাংশ আসে উৎপাদন খাত থেকে। ভারতে তা ২০ শতাংশও নয়। ফেব্রুয়ারিতে ভারতের শিল্প উৎপাদন খাতের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক ছিল। মেক ইন ইন্ডিয়াও ফ্লপ করেছে। অর্থাৎ, মোদি নয়া উদারনীতিবাদকে গরিবদের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারেননি।

ভারতে বেকারত্বের হার ৬ দশমিক ১ শতাংশ। কাজের অভাব আছে তা নয়। অভাব আছে শোভন কাজের। এই শোভন কাজ দিতে পারত উৎপাদনশীল খাত। উচ্চ প্রযুক্তিভিত্তিক কাজও আসছে না। আমাজন ও অ্যাপলের মতো কোম্পানি ভারতে বিনিয়োগ করলেও তা যথেষ্ট নয়। নিজেরা শিল্পায়ন করলে উচ্চ প্রযুক্তিভিত্তিক কাজ তৈরি করা সম্ভব। কিন্তু তা না হওয়ায় উন্নত বিশ্বের বাতিল কাজগুলো ভারতে আসছে। অর্থাৎ, ভারতে না আছে পর্যাপ্ত কাজ, না আছে শোভন কাজ। এর জন্য শুধু মোদিকে দোষ দেওয়া যাবে না। তাঁর আগে যাঁরা ছিলেন, তাঁরাও নয়া উদারনীতিবাদ যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারেননি।

এই সমস্যা কিন্তু চীনেরও আছে। এই অবস্থায় শোভন কাজ সৃষ্টি কতটা সম্ভব—এমন প্রশ্নের জবাবে রতন খাসনবিশ বলেন, আইএলও বলছে, সারা পৃথিবীতেই শোভন কাজের সংকট চলছে। ফলে যেটা করতে হবে তা হলো শ্রমবাজারের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বলতে হবে, আমার দেশে কারখানা করতে হলে শ্রমিককে আট ঘণ্টার বেশি খাটানো যাবে না। এতে বিনিয়োগকারীরা বলতে পারেন, তাঁরা বাংলাদেশে চলে যাবেন। সে জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঐকমত্যে আসতে হবে। সমরূপ শ্রম আইন করতে হবে। শোভন কাজ তৈরিতে তাঁদের চুক্তি করতে হবে। নব্য উদারনীতিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সরকারগুলোকে শ্রমিকমুখী হতে হবে। রাষ্ট্রকে শ্রমিকের পক্ষে নামতে হবে। তাহলেই শোভন কাজ তৈরি করা সম্ভব। শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় এককাট্টা হয়ে বাংলাদেশ, ভারত আরও কাছাকাছি আসতে পারে।