পার্লামেন্ট ভবনে সাপের তাড়া

সাপের কারণে আইনপ্রণেতাদের হট্টগোল। ছবি: নাইজেরিয়ার পার্লামেন্ট
সাপের কারণে আইনপ্রণেতাদের হট্টগোল। ছবি: নাইজেরিয়ার পার্লামেন্ট

নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি প্রাদেশিক পার্লামেন্ট ভবনে গত বৃহস্পতিবার সাপের তাড়ায় আইনপ্রণেতাদের ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটতে দেখা গেছে। ওনদো প্রদেশের আইনপ্রণেতাদের মুখপাত্র ওলুগবেঙ্গা ওমোলে বলেন, ‘আমরা যখন অধিবেশনের জন্য পার্লামেন্ট কক্ষে ঢুকি, দেখি, একটা বিরাট সাপ ভেতরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এরপর আইনপ্রণেতাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। যদিও সবাই নিরাপদ রয়েছেন।’

সাপটি অধিবেশনকক্ষের ছাদ থেকে মেঝেতে আছড়ে পড়েছিল। পরে সাপটিকে মেরে ফেলা হয়। অর্থের অভাবে পার্লামেন্ট ভবনের সংস্কারকাজও ঠিকমতো হচ্ছে না।

ওমোলে বলেন, পার্লামেন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানও নিরাপদ নয় এখন। ওই ঘটনায় অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। পুরো সংস্কারকাজ শেষ না হলে এবং নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা না হলে আইনপ্রণেতারা ফিরবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

নাইজেরিয়ায় সাপের উপদ্রব বেশি হলেও পার্লামেন্ট ভবনে সাপ ঢুকে পড়ার ঘটনা এই প্রথম। এর আগে অবশ্য ইঁদুর ও অন্য সরীসৃপ ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটেছিল। তবে সাপটি কোন জাতের ছিল, তা জানা যায়নি।

আফ্রিকান জার্নাল অব মেডিসিন অ্যান্ড মেডিকেল সায়েন্সের তথ্যমতে, নাইজেরিয়ায় প্রতিবছর প্রতি লাখে ৫০০ লোক সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়। এদের মধ্যে প্রতি আটজনে একজন মারা যায়। অধিকাংশ লোক কৃষি, গৃহপালিত পশু চরানো কিংবা ঝোপঝাড়ে হাঁটাচলার সময় সাপের কামড় খায়। সাপে কাটা রোগীর মাত্র ১০ শতাংশকে চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে নাইজেরিয়ার হাসপাতালগুলোর।