ভারতে ছেলেধরা সন্দেহে ৩ কংগ্রেস নেতাকে মারধর

ভারতের মধ্যপ্রদেশের একটি গ্রামে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে তিন কংগ্রেস নেতাকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। গ্রামবাসী হঠাৎ ওই তিন নেতাকে ঘিরে ফেলে ও তাঁদের গাড়ি ভেঙে দেয়। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের মধ্যপ্রদেশের একটি গ্রামে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে তিন কংগ্রেস নেতাকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। গ্রামবাসী হঠাৎ ওই তিন নেতাকে ঘিরে ফেলে ও তাঁদের গাড়ি ভেঙে দেয়। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের মধ্যপ্রদেশের একটি গ্রামে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে তিন কংগ্রেস নেতাকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলায় গত বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেতুল জেলার একটি গ্রামে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে সংঘবদ্ধ একটি দল এলাকা থেকে শিশুদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এতে স্থানীয় লোকজন গাছ ফেলে জেলার প্রধান সড়কটি বন্ধ করে দেয়। এ সময় তিন কংগ্রেস নেতা ঘুরতে ঘুরতে ওই রাস্তায় চলে যান। তাঁরা এ সময় রাস্তার ওপর গাছ পড়ে থাকতে দেখে ভড়কে যান। তাঁরা ভেবেছিলেন, ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে হয়তো রাস্তায় গাছ ফেলে গাড়ি থামানো হচ্ছে।

স্থানীয় পুলিশ জানাচ্ছে, ওই তিন নেতার নাম ধর্মেন্দ্র শুক্লা, ধার্মু সিংহ লাঞ্জিওয়ার ও ললিত বরাস্কর। তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছেন, ডাকাতেরা গাছ ফেলে গাড়ি থামাচ্ছে ভেবে তাঁরা দ্রুত গাড়ি ঘুরিয়ে নেন। তবে মুহূর্তের মধ্যে গ্রামবাসী তাঁদের ঘিরে ফেলে। এ সময় গ্রামবাসী তাঁদের গাড়ি ভেঙে ফেলে ও মারধর করে।

জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা রাম স্নেহি মিশ্র বলেন, ছেলেধরা সন্দেহে গ্রামবাসী তিন নেতার গাড়িতে আক্রমণ করে। তাঁদের গাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। গ্রামবাসী ওই তিন নেতাকে মারধরও করেছে। এ ঘটনায় বেতুল পুলিশ একটি মামলা করেছে ও ঘটনার তদন্ত করছে।

কয়েক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় ছেলেধরা সন্দেহে অন্তত এক ডজন গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে তিনটি ঘটনাই ঘটেছে বেতুল জেলায়।