নৌকায় আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে যাবে জাতিসংঘে

গ্রেটা থুনবার্গ
গ্রেটা থুনবার্গ

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সোচ্চার সুইডেনের স্কুলছাত্রী গ্রেটা থুনবার্গ বিশ্বে ব্যাপক আলোচিত নাম। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সম্মেলনে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বক্তব্য দেওয়ার জন্য। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় ওই সম্মেলনে সুইডেন থেকে নিউইয়র্কে সে কিসে যাবে, তা নিয়ে বাধে বিপত্তি। কারণ, সে উচ্চ কার্বন ডাই–অক্সসাইড নির্গত উড়োজাহাজ বা জাহাজে উঠবে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়। অবশেষে সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে। নৌকায় করে আটলান্টিক সমুদ্র পাড়ি দিয়ে জাতিসংঘে যাবে সে।

দুঃসাহসিক কিন্তু পরিবেশবান্ধব ওই যাত্রায় রাজি হয়েছে থুনবার্গ। গতকাল মঙ্গলবার থুনবার্গ টুইট করে বলে, ‘আগামী মাসের মাঝামাঝিতে মালিজিয়া–২ নামের ইয়োটে (নৌকায়) আমরা যাত্রা শুরু করব।’

ফেসবুক পোস্টে টিম মালিজিয়া বলেছে, গ্রেটা থুনবার্গকে নিয়ে কার্বন নির্গতবিহীন এই আটলান্টিক সমুদ্রযাত্রার সুযোগ পেয়ে তারা খুবই সম্মানিত।

আগস্টে আটলান্টিক সমুদ্রে প্রায়ই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। তাই এই যাত্রা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এর আগে এই বিষয়ে ওই সুইডিশ স্কুলছাত্রী এএফপিকে জানায়, নৌকায় আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে উত্তর আমেরিকায় পৌঁছানো একেবারে অসম্ভব।

১৬ বছর বয়সী স্কুলছাত্রী সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে সম্মেলনে যোগ দেবেন। এরপর সেখান থেকে কম কার্বন নির্গত যানবাহনে করে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে অংশ নেবে।

উচ্চপ্রযুক্তিসম্পন্ন নৌকা মালিজিয়া-২ সোলার প্যানেল ও পানির নিচে থাকা টারবাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্নের মাধ্যমে চলে। থুনবার্গের সঙ্গে তার বাবা ছাড়াও মোনাকোর রাজপরিবারের সদস্য পিয়েরে কাসিরাঘি ও সুইডিশ তথ্যচিত্র নির্মাতা নাথান গ্রসম্যান ওই দুঃসাহসিক ভ্রমণে থাকবেন।

টিম মালিজিয়ার এক মুখপাত্র বলেছেন, তাঁরা নিজেরাই নৌকায় আটলান্টিক সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার প্রস্তাব গ্রেটা থুনবার্গকে দেন। নৌকায় আটলান্টিক সাগর পাড়ি দিতে তাঁদের আগে কোনো পরিকল্পনাও ছিল না। এই ভ্রমণ কত দিনের হবে তা এখনো নিশ্চিত নন তাঁরা।