কলকাতা মাতাল বাংলাদেশি বধূর খাবার

বাংলাদেশের ১৫টি জেলার ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে ‘পদ্মাপারের পাকঘর’ আয়োজন আজ শেষ হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের ১৫টি জেলার ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে ‘পদ্মাপারের পাকঘর’ আয়োজন আজ শেষ হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

মাছ, মাংস, বিরিয়ানি, নিরামিষসহ নানান ঐতিহ্যবাহী পদে কলকাতা মাতাল বাংলাদেশি খাবার। বাংলাদেশি এক বধূ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে উপকরণ নিয়ে কলকাতায় করেছেন এই রান্নার আয়োজন। বাংলাদেশের ১৫টি জেলার ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে কলকাতায় শুরু হয় ‘পদ্মাপারের পাকঘর’ নামের আয়োজনটি। ১৩ দিনের এই আয়োজন আজ বুধবার রাতে শেষ হচ্ছে।

১৯ জুলাই কলকাতার অভিজাত হোটেল দ্য অ্যাস্টরে এ আয়োজন শুরু হয়।

বাংলাদেশের নানান ধরনের খাবার নিয়ে এই ‘পদ্মাপারের পাকঘর’ খুলেছিলেন বাংলাদেশের বধূ রাঁধুনি নয়না আফরোজ। নয়নার বাড়ি এখন বাংলাদেশে হলেও তিনি ছিলেন কলকাতার মেয়ে। এক বাংলাদেশিকে বিয়ে করে হয়ে যান বাংলাদেশের বধূ।

১৩ দিনব্যাপী চলা এই পাকঘরে রান্না হয়েছে বাংলাদেশের ১৫টি জেলার নানান ঐতিহ্যবাহী খাবার। একেবারে জিবে জল আনা খাবার। মাছ–মাংস ছাড়াও আয়োজন ছিল নিরামিষ, নানান ফলমূলের নানান পদ। বৈচিত্র্যময় বিরিয়ানি থেকে মাছ ও মাংসের নানান পদ। ইলিশ তো ছিলই। মাছ–মাংসের পদেরও শেষ ছিল না এই পাকঘরে! কলকাতার লোকজন এই খাবার খেয়ে দারুণ অভিভূত। প্রতিদিন কলকাতার মানুষ চেকে দেখেছেন বাংলাদেশের নানান খাবার। এসেছেন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ এবং বিদেশিরাও।


এক ভোজনরসিক বলেছেন, ‘সত্যিই এবার বাংলাদেশের নানান খাবারের নানান স্বাদ পেলাম। মনে থাকবে।’

‘পদ্মাপারের পাকঘর’ আয়োজনের অতিথিরা। ছবি: সংগৃহীত
‘পদ্মাপারের পাকঘর’ আয়োজনের অতিথিরা। ছবি: সংগৃহীত

হোটেলের এক কর্মকর্তা বললেন, প্রতিদিনই দুপুর আর রাতে এসেছেন ভোজনরসিকেরা। তাঁরা তৃপ্তিসহকারে খেয়েছেন বাংলাদেশের নানান খাবার।

১৯ জুলাই এই পাকঘরের উদ্বোধন করেছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান। ওই সময় তিনি বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে থেকে আজ সত্যিই বাংলাদেশের খাবারের প্রকৃত স্বাদ পেলাম। আশা করা যায়, কলকাতার ভোজনপ্রিয়রা এই খাবার খেয়ে পরিতৃপ্ত হবেন।’

আজ দুপুরে নয়না আফরোজ প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘আমি সত্যিই মুগ্ধ। মানুষ এসেছেন। আমাদের খাবার খেয়েছেন। খাবারের প্রশংসা করেছেন। খাবার সমাদৃত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি এই উৎসবে ৩৫ ধরনের রান্না করেছি। প্রতিটি পদ সমাদৃত হয়েছে। ভোজনরসিকেরা প্রশংসা করেছেন প্রতিটি পদের। বাংলাদেশের ১৫টি জেলার ঐতিহ্যবাহী পদ রান্নার জন্য আমি সেই সব জেলার পণ্য নিয়ে কলকাতায় এসেছিলাম। আর সেই সব উপকরণ দিয়ে রান্না করেছি। মানুষের সাড়া পেয়ে আমি মুগ্ধ। আমি আবার আসব।’