বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকক্ষের সামনে বসছে ভাস্কর্য

বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর কক্ষের সামনে নতুন ভাস্কর্য। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর কক্ষের সামনে নতুন ভাস্কর্য। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্ট। দিনটি কলকাতায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হবে। দিনটি উদ্‌যাপনের আগে আগামী শনিবার কলকাতার বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবাহী বেকার হোস্টেলে বসছে বঙ্গবন্ধুর নতুন একটি ভাস্কর্য। এর আগে এখানে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য যথাযথ না হওয়ায় সেই ভাস্কর্যকে পরিবর্তন করে বসানো হচ্ছে নতুন ভাস্কর্য। এটি তৈরি করেছে ঢাকার শিল্পী লিটন পাল রনি।

ভাস্কর্য স্থাপন উপলক্ষে শনিবার সকালে বেকার হোস্টেলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বেকার হোস্টেলের স্মৃতিবাহী কক্ষের সামনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের উন্মোচন করবেন বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত সরকারি বেকার হোস্টেলটি রয়েছে কলকাতার শিয়ালদহের কাছে ৮ স্মিথ লেনে।

১৯১০ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয় এই বেকার হোস্টেল। এটি সরকারি ছাত্রাবাস। বঙ্গবন্ধু কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে ডিগ্রি পড়ার সময় এ বেকার হোস্টেলে ছিলেন ১৯৪৫-৪৬ সালে। সেখানকার ২৪ নম্বর কক্ষে ছিলেন তিনি। ইসলামিয়া কলেজের নাম পরিবর্তন করে এখন নামকরণ করা হয়েছে মৌলানা আজাদ কলেজ।

১৯৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে বেকার হোস্টেলের ২৩ ও ২৪ নম্বর কক্ষ নিয়ে গড়া হয় বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ। এ স্মৃতিকক্ষে এখনো রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত খাট, চেয়ার, টেবিল ও আলমারি। বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ২৪ নম্বরের পাশের ২৩ নম্বর কক্ষটিকে যুক্ত করে স্মৃতিকক্ষ গড়ার উদ্যোগ নেন। ১৯৯৮ সালের ৩১ জুলাই বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক সত্যসাধন চক্রবর্তী।