ভারতে ট্রাফিক আইন ভাঙলে মোটা জরিমানা

ভারতে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে ব্যাপক জরিমানাসহ কঠিন শাস্তির বিধান রেখে বিল পাস প্রস্তাব করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাজ্য সভায় এ বিল অনুমোদন পাওয়ায় এটা এখন আইনে রূপ নেওয়ার অপেক্ষায়। ভারতের সড়ক ও পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গড়করি বলেছেন, মোটর ভেহিক্যালস সংশোধনী বিলটি আইন হিসেবে পাস হলে মানুষের মনে ট্রাফিক আইন ভাঙার ভয় সৃষ্টি করবে। আইন ভাঙার বিষয়টি ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেম মনিটর করবে।

নিউজ ১৮–এর প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিল পাস হওয়ার ফলে বদলে যাচ্ছে ভারতের ট্রাফিক আইনসংক্রান্ত একাধিক নিয়ম। ৩১ জুলাই সংসদে পাস হয়েছে মোটর ভেহিক্যালস সংশোধনী বিল, ২০১৯। এই আইন প্রযোজ্য হওয়ার পর থেকে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে করলে বর্ধিত হারে জরিমানাও দিতে হবে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, যদি ট্রাফিক আইন ভেঙে গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার, ট্রাফিক লাইট না মেনে গাড়ি চালিয়ে দেওয়া বা লেন না মেনে গাড়ি চালালে তা বিপজ্জনক গাড়ি চালানো হিসেবে গণ্য করা হবে। বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালালে পাঁচ হাজার রুপি জরিমানা হতে পারে। আগে জরিমানা ছিল এক হাজার রুপি। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালালে জরিমানা হবে ১০ হাজার রুপি।

সাধারণ ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে আগে ১০০ রুপি জরিমানা দিতে হতো, নতুন আইনে দিতে হবে ৫০০ রুপি। বিনা টিকিটে যাতায়াত করলে জরিমানা ৫০০ রুপি। অযোগ্য চালক বলে প্রমাণিত হলে ১০ হাজার রুপি জরিমানা দিতে হবে। ট্যাক্সিচালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্সসংক্রান্ত নিয়ম ভঙ্গ করলে এক লাখ রুপির বেশি জরিমানা হতে পারে। যদি নির্ধারিত গতিসীমার বাইরে কেউ গাড়ি চালান তাঁর এক হাজার থেকে দুই হাজার রুপি জরিমানা হতে পারে।

চালক যদি জরুরি সেবার গাড়িগুলোকে আগে যেতে না দেন, তবে ১০ হাজার রুপি জরিমানা হবে। ইনস্যুরেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে দুই হাজার রুপি জরিমানা দিতে হতে পারে। বিনা হেলমেটে বাইক বা স্কুটার চালালে এক হাজার জরিমানা বা তিন মাসের জন্য লাইসেন্স বাতিল হবে।

যদি অপরিণত বয়সের কেউ গাড়ি চালিয়ে রাস্তার নিয়ম ভাঙে, তবে তার অভিভাবক বা গাড়ির মালিককে এর জন্য দায় নিতে হবে। এর জন্য জরিমানা হবে ২৫ হাজার রুপি বা সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল। এ ছাড়া নিবন্ধন বাতিল হবে।

বৈধ লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে পাঁচ হাজার রুপি জরিমানা দিতে হবে। বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালালে পাঁচ হাজার রুপি জরিমানা হতে পারে। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালালে জরিমানা হবে প্রায় ১০ হাজার রুপি।

কোনো গাড়িতে যদি অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা হয়, তবে তার জন্যও ২০ হাজার রুপি জরিমানা দিতে হবে।

নিতিন গড়কড়ি বলেন, চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির বিষয়টি কম্পিউটার পদ্ধতিতে করা হবে। মন্ত্রী-সাংসদসহ সবাইকে অনলাইন টেস্টে পাস করতে হবে। তা না হলে লাইসেন্স পাবেন না।