প্রধানমন্ত্রী বদলায়, থেকে যায় বিড়াল

ল্যারি দ্য ক্যাট
ল্যারি দ্য ক্যাট

যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সময় নিয়োগ পেয়েছিল ‘ল্যারি দ্য ক্যাট’। ব্রেক্সিট (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ) ইস্যুর জের ধরে এরপর দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদে তিনবার পরিবর্তন এসেছে। তাঁদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিসভায়ও কম-বেশি পরিবর্তন এসেছে। পরিবর্তন আসেনি কেবল ল্যারির পদে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের এই কর্মীর একমাত্র কাজ ইঁদুর শিকার।

‘ল্যারি দ্য ক্যাট’ যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চিফ মাউসার’। অর্থাৎ ইঁদুর ধরার জন্য নিযুক্ত প্রধান বিড়াল।

যুক্তরাজ্যের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে পদত্যাগ করার পর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন বরিস জনসন। সম্প্রতি গুঞ্জন ওঠে, বরিস ক্ষমতায় এসেই থেরেসা মের আমলের অনেককে বরখাস্ত করছেন। এ দলে ল্যারিও রয়েছে। তবে সব জল্পনা উড়িয়ে বরিস ঘোষণা দিয়েছেন, ল্যারি স্বপদেই থাকছে।

সরকারপ্রধানের বাসভবনে ইঁদুর ধরতে বিড়াল নিয়োগ ব্রিটেনের শত শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্য। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘চিফ মাউসার’ পদ সৃষ্টি করে বিড়াল নিয়োগের ঘটনা ল্যারির ক্ষেত্রেই প্রথম ঘটেছে। ২০১১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সিঁড়ি ও শোবার ঘরে ইঁদুরের উৎপাতে ক্লান্ত হয়ে ল্যারিকে নিয়োগ দেন।

যুক্তরাজ্যের চিফ মাউসারের প্রধান দায়িত্ব ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ইঁদুর মেরে সাফ করা। তবে এ কাজে ল্যারির অদক্ষতা নিয়ে কম রসিকতা হয়নি। ২০১২ সালে ক্যামেরন একবার ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে প্রায় বরখাস্তই করেছিলেন। সেবার ক্যামেরনের চোখের সামনে ঘুরে বেড়ানো ইঁদুর ধরতে অনীহা দেখিয়েছিল ল্যারি। ব্রিটিশ গণমাধ্যম তাই তার নাম দিয়েছে ‘লেজি ল্যারি’ (অলস ল্যারি)।