ডিমে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ!

ডিম
ডিম

ওষুধ, খাদ্যপণ্য, নিত্যপণ্যসহ বহু পণ্যের উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ থাকে। বিভিন্ন পানীয়র এমনকি প্যাকেটজাত বহু পণ্যেরও থাকে মেয়াদের তারিখ। কিন্তু ডিমের গায়ে সচরাচর মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ দেখা যায় না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙ্গরের কাশীপুর বাজারে একটি দোকানে মিলছে মেয়াদ উত্তীর্ণের (এক্সপায়ারি ডেট) স্টিকার লাগানো মুরগির ডিম।

প্রতিটি ডিমেই সাঁটানো আছে মেয়াদের স্টিকার। অনেকেই ডিমেরও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ আছে শুনে অবাক হয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, বহু পণ্যের উৎপাদন ও মেয়াদ বা এক্সপায়ারি ডেট লেখা থাকছে বহুদিন ধরে। তবে ডিমেও থাকে এ খবর এই প্রথম জানলেন তাঁরা।

ভাঙরের চড়কপোতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবেশ পালও বলেন, ‘আমরা স্কুলের মিড-ডে মিলের জন্য এখন কিনছি মেয়াদ থাকা ডিম। আমিও প্রথম ডিমের ওপর মেয়াদ লেখা স্টিকার দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তবে পরে মনে হলো ভালোই হয়েছে। এবার অন্তত ডিম ভালো না মন্দ সময় থাকায় সেটা জানতে পারছি।’

আসলে সাধারণ মানুষ জানেন না যে, একটি ডিম কত দিন ভালো অর্থাৎ খাওয়ার উপযোগী থাকে। এবার মেয়াদ থাকা ডিম পেয়ে প্রকারান্তরে তাঁরা খুশি। কারণ, তাঁরা জানেন না তাঁদের কেনা ডিমটি কবে পেড়েছে মুরগিটি। তবে এখন মিলছে কত দিন এই ডিমটি খাওয়া যাবে তার হদিস।

ভাঙরের মুদি দোকানদার জলিল মোল্লা বলেছেন, তিনি এই এক্সপায়ারি লেখা ডিম কিনছেন শিয়ালদহের ডিমের পাইকারি বাজার থেকে। ডিমগুলো আসে ওডিশা থেকে। সেখানকার ব্যবসায়ীরা প্রতিটি ডিমের ওপর এক্সপায়ারি ডেট–সংবলিত ছোট্ট স্টিকার লাগিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে ক্রেতারাও আশ্বস্ত হচ্ছেন ডিমের ভালো থাকার মেয়াদকাল নিয়ে।

ডিম বিক্রেতাদের দাবি, ডিম পাড়ার পর সাধারণত দিন বিশ তা ভালো থাকে। তবে প্যাকেটে করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ অবস্থায় রাখা হলে মাস তিনেক পর্যন্ত ডিম ভালো থাকে।

এক্সপায়ারি ডেট লেখা ডিমগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন একদল ক্রেতা। তা ছাড়া ব্যবসায়ীরা যে মেয়াদকালের স্টিকার লাগিয়ে দিচ্ছে তার ওপর মানুষ কতটা বিশ্বাস আনতে পারছে। কারণ, এটা তো সরকারি কোনো সংস্থা দিয়ে ডিম পরীক্ষার পর লাগানো হয়নি। তবু মানুষ এক্সপায়ারি লেখা ডিম কিনতে আগ্রহীই হচ্ছেন বেশি।