জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের ব্রিফ

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর।

জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্যকে ব্রিফ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বিদেশি গণমাধ্যমকেও এ বিষয়ে ব্রিফ করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই ব্রিফের কথা আজ মঙ্গলবার এনডিটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের ৭০ বছরের বিশেষ মর্যাদা গতকাল সোমবার বাতিল করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। রাষ্ট্রপতির নির্দেশ জারির মধ্য দিয়ে বাতিল হয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দুই ভাগ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া ও ফ্রান্স জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। ভারত সরকারের একাধিক সূত্র জানায়, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের কাছে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ভারত সরকারের পদক্ষেপ ব্যাখ্যা করেছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ব্রিফে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সংবিধানের ৩৭০ ধারা ছিল একটি অস্থায়ী বিষয়। ৭০ বছর ধরে ধারাটি বহাল ছিল। অস্থায়ী কিছুর জন্য ৭০ বছর দীর্ঘ সময়। ধারাটি জবাবদিহি ও প্রশাসনের গুণমান কমিয়ে দিয়েছিল। উপরন্তু, তা বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাবের জন্ম দিয়েছে।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, স্বার্থান্বেষীরা কাশ্মীরে ভারতীয় আইনের প্রয়োগ চায়নি। এ কারণে সেখানে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও রাজ্যসভায় একই যুক্তি দেন। তাঁর ভাষ্য, সংবিধানের ৩৭০ ধারা জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নে বাধা হিসেবে কাজ করেছে।

ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দিয়েছিল। এই ধারা বাতিলের পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরকে দুই টুকরো করে দিয়েছে ভারত সরকার। কেড়ে নেওয়া হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা। এখন থেকে তার পরিচিতি হবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে।

সরকার গতকাল যে ঘোষণা দিয়েছে, তার কারণে অন্য রাজ্যের জনসাধারণ এখন কাশ্মীরে গিয়ে সম্পদ কিনতে পারবে। স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবে। মূলত, এই কারণেই ভয় পাচ্ছে কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দারা। কারণ, তারা আশঙ্কা করছে, এই মর্যাদা বাতিলের ফলে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ওই এলাকা এখন হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় পরিণত হবে।