কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীর মুক্তি চান মমতা

কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি (বাঁয়ে) ও ওমর আবদুল্লাহ
কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি (বাঁয়ে) ও ওমর আবদুল্লাহ

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের জন্য সংবিধানে দেওয়া বিশেষ সুবিধাসংক্রান্ত ৩৭০ ধারা রদ করায় ভারতের বিভিন্ন বিরোধী দল বিজেপির তীব্র বিরোধিতা করে। এই বিরোধিতা নিয়ে কলকাতায় কংগ্রেস-সিপিএমসহ বিভিন্ন দল প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করে। তবে গতকাল সোমবার নিশ্চুপ ছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

যদিও রাজ্যসভায় তৃণমূল এই বিলের বিরোধিতা করে অধিবেশন ত্যাগ করেছিল। এমনকি তারা অংশ নেয়নি ভোটাভুটিতে। তৃণমূল বলেছিল, তারা এই বিলের পক্ষে বা বিরুদ্ধে কিছু বলবে না।

আজ মঙ্গলবার মুখ খোলেন মমতা। চেন্নাইতে ডিএমকের প্রয়াত নেতা এম করুণানিধির মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে আজ কলকাতার দমদম বিমানবন্দরে মমতা বললেন, কাশ্মীর নিয়ে গতকাল থেকে যা ঘটছে, তার ওপর তিনি নজর রেখেছেন। বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি কাশ্মীরের বাসিন্দারাও আমাদের ভাইবোন। তবে আমি ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না। তবে আমি এই পদ্ধতির সঙ্গে একমত নই। আমরা এই বিলকে সমর্থন করতে পারি না। আমরা সংসদে ভোট দিইনি। কারণ তাতে সংসদে রেকর্ড হয়ে থাকবে। সাংবিধানিক, আইনগত এবং পদ্ধতিগতভাবে এটা প্রশংসনীয় নয়। এটা গণতান্ত্রিকভাবেও করা হয়নি। বিজেপি সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করতে পারত। ওদের কাশ্মীরের লোকজনদের ডাকা উচিত ছিল। বৈঠক ডাকতে পারত। সেখানে আমরাও যেতাম। সবাই একযোগে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম।’

মমতা আরও বলেছেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিকে গ্রেপ্তার করার খবর পেয়েছি। শুনেছি তাঁদের অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছি। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, ওরা আমাদের ভাইবোন। ওরা ভারতীয়। ওরা জঙ্গি নয়। গণতন্ত্রের স্বার্থে ওদের মুক্তি দেওয়া হোক।’