কাশ্মীর ইস্যু: চীন কার পক্ষে?

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পরে সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করেছে ভারত। নিরাপত্তাকর্মীরা এক মোটরসাইকেল চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। ছবি: এএফপি
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পরে সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করেছে ভারত। নিরাপত্তাকর্মীরা এক মোটরসাইকেল চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। ছবি: এএফপি

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে চীন। ভারতের এই সিদ্ধান্তকে অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেছে বেইজিং। ভারতের সিদ্ধান্তের পরদিন আজ চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে নিজেদের এই অবস্থানের কথা জানায়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেছেন, ‘ভারতের এই কর্মকাণ্ড অগ্রহণযোগ্য’। নয়াদিল্লির এ সিদ্ধান্ত চীনের সীমান্তবর্তী অংশের (কাশ্মীরের একাংশ চীনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে) সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করবে।

হুয়া চুনিং আরও বলেন, সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ক্ষেত্রে ভারতের উচিত দুই দেশের মধ্যকার চুক্তিগুলো কঠোর ভাবে মেনে চলা। এতে করে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বিষয়ক সম্পর্কের অবনতি এড়ানো যাবে।

কাশ্মীর ভূখণ্ড তিনটি দেশের নিয়ন্ত্রণে। লাদাখসহ জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কাশ্মীরের পশ্চিম অংশ। আর চীনের নিয়ন্ত্রণে আছে এর উত্তরের অংশ।

প্রায় ৭০ বছর আগে বিশেষ মর্যাদা পেয়েছিল ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর। তবে সোমবার সেই মর্যাদা বাতিল করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দুই ভাগ করা হয়েছে। অর্থাৎ একই সঙ্গে বিশেষ মর্যাদা গেল, গেল রাজ্যের মর্যাদাও।

ভারতের এমন সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আগেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ভারতের এই বেআইনি সিদ্ধান্তের ফলে আঞ্চলিক শান্তি, সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা নষ্ট হবে।

.