জিম্বাবুয়ের ৫০ লাখ মানুষের জন্য সাহায্যের আবেদন

জিম্বাবুয়ের এক-তৃতীয়াংশ মানুষের জন্য জরুরি সহায়তার আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জিম্বাবুয়ের এক-তৃতীয়াংশ মানুষের জন্য জরুরি সহায়তার আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জিম্বাবুয়ের ৫০ লাখ মানুষের জন্য জরুরি সহায়তার আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ, যা মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ। খরা ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব এবং অর্থনৈতিক সংকটে থাকা দেশটির জন্য ৩৩ কোটি ১০ লাখ ডলার সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গতকাল মঙ্গলবার ডব্লিউএফপির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বিসলে বলেন, ‘অনেকেই সংকটে আছে, যা জরুরি অবস্থার দিকে যাচ্ছে...অনাহারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে অনেকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশটিতে ২৫ লাখ মানুষ অনাহারে চলে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে। আমরা সেই মানুষদের কথা বলছি, যারা আমাদের সাহায্য না পেলে অনাহারের দিকে এগিয়ে যাবে।’

গতকাল দেশটির চলমান খরাকে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ বলে ঘোষণা করেছে সরকার।

বছরের বছর ধরেই খাদ্যসংকট রয়েছে জিম্বাবুয়েতে। সম্প্রতি খরার কারণে ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। জোগান কম থাকায় খাদ্যের দাম বেড়েছে। মাটির নিচে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় কারিবা লেকের হাইড্রো ইলেকট্রিক প্ল্যান্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে দেশজুড়েই বৈদ্যুতিক সংকট তৈরি হয়েছে।

এর মধ্যে গত মার্চে ঘূর্ণিঝড় ইদায়ের কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে জিম্বাবুয়ের অর্থনীতি। জিম্বাবুয়েসহ মালি ও মোজাম্বিকে আঘাত হাতে ওই ঘূর্ণিঝড়। ঝড়ে জিম্বাবুয়ের প্রায় ৫ লাখ ৭০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরবাড়ি হারায় হাজার হাজার মানুষ। গত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী এমথুলি এনকিউব বলেন, জানুয়ারি মাস থেকে এখন পর্যন্ত সরকার গ্রাম ও শহর মিলিয়ে ৭ লাখ ৫৭ হাজার পরিবারের মধ্যে শস্য বিতরণ করেছে।