কাশ্মীর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি বদলাবে না

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: রয়টার্স
কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: রয়টার্স

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানকে শান্তি বজায় রাখতে ও সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কাশ্মীরের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না বলে জানিয়েছে দেশটি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মরগ্যান ওরটেগাস।

আজ শুক্রবার এনডিটিভি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার কাশ্মীর ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন মরগ্যান ওরটেগাস। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি হচ্ছে, কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় ইস্যু। এ ইস্যুতে শান্তি রক্ষা এবং আলোচনার সুযোগ তৈরিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে দুই দেশের ওপর। তবে যুক্তরাষ্ট্র চায় কাশ্মীর ইস্যুতে দুই দেশ আলোচনায় বসুক।

মরগ্যান বলেন, ‘আমরা সব পক্ষকে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছি। আমরা চাই সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকুক। আমরা অবশ্যই মনে করি, কাশ্মীরসহ উদ্বেগের অন্যান্য ইস্যুতেও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংলাপ হোক।’

গত সোমবার ভারতের বিজেপি সরকার দেশটির সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করে। এ কারণে জম্মু ও কাশ্মীর আলাদা রাজ্য না থেকে দ্বিখণ্ডিত হলো। জম্মু ও কাশ্মীর এখন থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হবে।

যুক্তরাষ্ট্রর পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মরগ্যান জানান, যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ার এ দুটি দেশ (ভারত ও পাকিস্তান) নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে আসছে। তিনি বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি আমরা। কিছুদিন আগেও এখানে প্রধানমন্ত্রী (পাকিস্তানের) ইমরান খান এখানে এসেছিলেন, সেটা শুধু কাশ্মীরের জন্য নয়। তবে কাশ্মীর অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এবং এ বিষয়টি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। কিন্তু আমাদের বিপুলসংখ্যক ইস্যু রয়েছে, যা নিয়ে আমরা ভারতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছি এবং একইভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছি।’

এর আগে এক বিবৃতিতে মরগ্যান জানান, কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ এবং ৩৫ ক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি এবং অবহিত করেনি। তিনি বলেন, ‘এমন কিছু ঘটতে যাচ্ছে, তা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।’

মার্কিন প্রশাসন সব সময়ই ভারত ও পাকিস্তানকে তাদের মতানৈক্যের জায়গাগুলোতে আলোচনার মাধ্যমে মতভেদ দূর করতে উৎসাহ দিয়ে আসছে। আলোচনার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পাকিস্তানকে তাদের ভূখণ্ড থেকে জঙ্গিদের কার্যকলাপ পরিচালনার পথ বন্ধ করতে হবে বলে জোর দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী অ্যালিস ওয়েলস এবং একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক ভারতের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তবে মরগ্যান বলেছেন, এ সফর পূর্বনির্ধারিত। তবে চলমান পরিস্থিতি (কাশ্মীর) নিয়ে আলোচনা হতে পারে।