স্বাধীনতার ৭৩ বছরে 'চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ' পদের ঘোষণা মোদির

ভারতের ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসে আজ বৃহস্পতিবার দিল্লির লালকেল্লা থেকে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: এএফপি
ভারতের ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসে আজ বৃহস্পতিবার দিল্লির লালকেল্লা থেকে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: এএফপি

সেনা, নৌ ও বিমান—প্রতিরক্ষার এই তিন বাহিনীর কাজে সমন্বয় এবং প্রধানমন্ত্রী ও তিন বাহিনীর মধ্যে সেতুবন্ধনের জন্য কাজ করতে এবার একজনকে দায়িত্বে আনা হচ্ছে। তাঁর পদমর্যাদা হবে ‘চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ’ বা সিডিএস। ভারতের ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসে দিল্লির লালকেল্লা থেকে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন।

দেড় ঘণ্টার ওই ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদি এই ঘোষণা দেওয়ার আগে বলেন, ‘আমাদের বাহিনী দেশের গর্ব। তিন বাহিনীর কাজে আরও বেশি সমন্বয় সাধনের জন্য আজ আমি এই লালকেল্লা থেকে এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানাতে চাই। ভারত এবার একজন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ পেতে চলেছে। এর ফলে তিন বাহিনী আরও বেশি কার্যকর হবে।’

২০ বছর আগে কারগিল যুদ্ধের পর এই পদ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা প্রথম অনুভূত হয়েছিল। সরকারের এক বিশেষজ্ঞ কমিটি এই প্রস্তাব রেখেছিল। তাতে বলা হয়েছিল, সিডিএস তিন বাহিনীর হয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। তিনিই হবেন একমাত্র সামরিক উপদেষ্টা। প্রস্তাবটির বাস্তবায়নে আগ্রহী ছিলেন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদভানিও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। পরবর্তীকালে মোদি-সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী থাকাকালে মনোহর পারিকরও সিডিএস নিযুক্তির পক্ষে ছিলেন। অবশেষে ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসে প্রস্তাবটি কার্যকর করলেন মোদি। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নন, সিডিএস হবেন তিন বাহিনীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম। তিন বাহিনীর তিন প্রধানের মতো সিডিএসও হবেন ‘ফোর স্টার’ কর্তা। তবে তিনি হবেন তিন প্রধানের চেয়েও ‘সিনিয়র’।

প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের সাবেক সেনাপ্রধান বেদপ্রকাশ মালিক। কারগিল যুদ্ধের সময় তিনিই ছিলেন ভারতের সেনাপ্রধান। আজ এক টুইটে তিনি বলেন, এর ফলে দেশের নিরাপত্তা আরও বেশি কার্যকর হবে। খরচও কমবে। বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে সংযোগও বাড়বে।