১৪ বোতলে ৪০ কেজি বালু, কারাদণ্ডের শঙ্কায় তাঁরা

সারডিনিয়া থেকে পর্যটকেরা বোতলে ভরে বালু নিয়ে যান। পরে তা অনলাইনে নিলামে বিক্রি করেন। ছবি: রয়টার্স
সারডিনিয়া থেকে পর্যটকেরা বোতলে ভরে বালু নিয়ে যান। পরে তা অনলাইনে নিলামে বিক্রি করেন। ছবি: রয়টার্স

শখ করে ইতালির সারডিনিয়া সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে এসেছিলেন ফরাসি এক জুটি। ফেরার সময় বড় আকারের ১৪টি বোতলে ভরে নেন সৈকতের বালু। তবে এই বালু নেওয়ার কারণেই তাঁদের আটক করেছে পুলিশ। ‘বালু চুরির’ অপরাধে এখন ওই জুটির ছয় বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ফরাসি জুটি প্রায় ৪০ কিলোগ্রামের মতো বালু নিজেদের গাড়িতে তুলেছিলেন। সেগুলো ‘স্যুভেনির’ হিসেবে ফ্রান্সে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তাঁরা। সারডিনিয়া সৈকতের সাদা বালু ওই অঞ্চলে বিখ্যাত। এটি সেখানে সরকারি সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি এক স্থান থেকে অন্যস্থানে সরানোও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। বালু নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে অনুশোচনা প্রকাশ করেছেন ফরাসি ওই জুটি।

বেশ কয়েক বছর ধরে সারডিনিয়ার বাসিন্দারা বালুসহ স্থানীয় প্রাকৃতিক সম্পদ চুরির বিষয়ে বারবার অভিযোগ করে আসছেন। এমন পরিস্থিতিতে যদি ওই ফরাসি জুটির চুরির অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে তাঁদের এক থেকে ছয় বছরের জেল হতে পারে।

স্থানীয় আইন অনুযায়ী সারডিনিয়ার বালু ও নুড়ির মতো বস্তু বিক্রি অবৈধ ও জরিমানাযোগ্য। কেউ যদি এগুলো বিক্রির চেষ্টা করে, তাহলে তাকে প্রায় ৩ হাজার ৩৩০ ডলার (২ লাখ ৮১ হাজার টাকা প্রায়) জরিমানা হতে পারে।

প্রাকৃতিক কারণসহ নানা কারণে সারডিনিয়া সৈকতে প্রতিবছর বালু কমে যাচ্ছে। বালুক্ষয়ের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বেশ উদ্বিগ্ন। এমন পরিস্থিতিতে এর আগে ১৯৯৪ সালে সারডিনিয়ার উত্তর-পূর্বে বুদেলি দ্বীপের গোলাপি সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়।

বিবিসি প্রতিবেদন বলছে, ইউরোপ ও কিছু কিছু ইতালিয়ান পর্যটক সারডিনিয়ার থেকে বোতলে করে বালু নিয়ে আসেন। পরে সেগুলো তাঁরা অনলাইনে নিলামে বিক্রি করেন।