খাদ্যতালিকায় শুধুই লাড্ডু, বিচ্ছেদ চাইলেন স্বামী

১০ বছরের দাম্পত্য জীবন। সন্তানসহ ভরপুর সুখী সংসার। কিন্তু আচমকাই আদালতে গিয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করে বসলেন এক ব্যক্তি। আসলে বিচ্ছেদ হতেই পারে। কিন্তু বিচ্ছেদের কারণটা বড়ই আজব। বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হলো লাড্ডু।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ভারতের উত্তর প্রদেশের মিরাটে এ ঘটনা ঘটেছে। স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিন্তিত স্ত্রী তান্ত্রিকের কাছে যান। তান্ত্রিকের পরামর্শে স্বামীকে শুধু লাড্ডু খেতে দেন তিনি। অন্য কোনো খাবার বাসায় খেতে না দেওয়ায় স্ত্রীর ওপর বিরক্ত স্বামী পারিবারিক আদালতে বিয়ে বিচ্ছেদের মামলা করেছেন।

মিরাটের এক বাসিন্দার বিয়ে হয় ১০ বছর আগে। তিন সন্তানের দম্পতির বিয়ের প্রথম কয়েকটা বছর বেশ ভালোয় ভালোয় কেটেছে। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় গত বছর থেকে। স্ত্রীর দাবি, সম্প্রতি তাঁর স্বামী বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। স্বামীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত তিনি। তবে চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না তাঁরা। বরং রোগের চিকিৎসায় শরণাপন্ন হয়েছেন তান্ত্রিকের। তান্ত্রিকের পরামর্শে স্বামীকে শুধু লাড্ডু খেতে দিচ্ছেন ওই নারী। অন্য কোনো খাবার তিনি স্বামীকে খেতে দেন না।

স্বামীর দাবি, দিন রাত স্ত্রী শুধু লাড্ডুই খেতে দিচ্ছেন। সকাল ও সন্ধ্যায় মোট আটটি লাড্ডু খেয়েই দিন কাটছে তাঁর। বারবার স্ত্রীর কাছ থেকে খাবার চেয়েছেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু তান্ত্রিকের কথা অমান্য করার মতো সাহস নাকি তাঁর স্ত্রীর নেই। স্বামীকে ওই নারী আশ্বস্ত করেছেন যে এতে অসুস্থতা সেরে যাবে। এদিকে খিদের জ্বালায় প্রাণ যায় যায় অবস্থা স্বামীর। বাড়ির বাইরে বেরিয়ে বেশির ভাগ দিনই নিজের পছন্দমতো খাবার খেয়েছেন তিনি। কিন্তু আর কত। দিন যত যাচ্ছে, ততই তান্ত্রিকের ওপর স্ত্রীর নির্ভরতায় অতিষ্ঠ স্বামী। তাই বাধ্য হয়েই বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আবেদন করেছেন পারিবারিক আদালতে।

বিচ্ছেদের কারণ শুনে অবাক হয়ে যান বিচারক থেকে আইনজীবী প্রায় সবাই। শুধু লাড্ডু খেতে দেওয়ার জন্য যে কারও বিয়ে ভেঙে যেতে পারে, তা অনেকে ভাবতে পারেননি। আদালত ওই দম্পতির কথা শুনেছেন। ওই নারী এতটাই কুসংস্কারাচ্ছন্ন যে তিনি আদালতকে জানিয়ে দিয়েছেন, প্রয়োজনে স্বামীকে ছাড়তে পারেন তবে তান্ত্রিকের কথা অমান্য তিনি করতে পারবেন না। এখন আদালত কি সিদ্ধান্ত নেন, দেখার বিষয় তা–ই।