নিজেদের তৈরি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এনেছে ইরান

তেহরানে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পরিদর্শন করে দেখছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। ছবি: রয়টার্স
তেহরানে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পরিদর্শন করে দেখছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। ছবি: রয়টার্স

দূরপাল্লার একটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা উদ্বোধন করেছে ইরান। ভূমি থেকে আকাশে আঘাত হানতে সক্ষম এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থাটি সম্পূর্ণ নিজেদের তৈরি বলে দেশটি দাবি করেছে। বৃহস্পতিবার এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এমন এক সময় ইরান এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থাটি বিশ্বের সামনে এনেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির রেষারেষি তুঙ্গে। গত জুনে উপসাগরীয় এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছিল ইরান। সেই সময় ইরানের দাবি ছিল, মার্কিন ড্রোনটি আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘন করে দেশটির সীমান্তে অনুপ্রবেশ করেছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র তা অস্বীকার করে দাবি করেছিল, ইরান আন্তর্জাতিক সীমানায় তাদের ড্রোনটি ভূপাতিত করেছে। এর পরই দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে জানা গেছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থাটি উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ইরানের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, দেশটির এই নতুন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়ার এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সমকক্ষ।

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আমির হাতামি বলেছেন, এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকেই শত্রুপক্ষের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রকে চিহ্নিত করা যাবে। ২৫০ কিলোমিটার দূরত্বেই সেটিকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা যাবে এবং ২০০ কিলোমিটারের মধ্যেই সেটিকে ধ্বংস করে দেওয়া যাবে।

‘ন্যাশনাল ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি ডে’ সামনে রেখেই এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্মুক্ত করল ইরান। আন্তর্জাতিকভাবে অস্ত্র আমদানিতে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইরান নিজেই বড় বড় অস্ত্র কারখানা তৈরি করছে।

পশ্চিমা সামরিক গবেষকেরা অবশ্য বলছেন, ইরান সব সময় তাদের অস্ত্রের ব্যাপারে একটু বাড়িয়ে বলে। তবে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, ইরানের দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রকল্পের কারণে দেশটির ওপর থাকা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবরোধ আরও জোরদার হতে পারে।