জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে পিষ্ট হয়ে নিহত ৬

পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কচুয়ার লোকনাথ মন্দিরে গতকাল রাতে হাজার হাজার পুণ্যার্থীর সমাগম হয়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কচুয়ার লোকনাথ মন্দিরে গতকাল রাতে হাজার হাজার পুণ্যার্থীর সমাগম হয়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কচুয়ার লোকনাথ মন্দিরে প্রচণ্ড ভিড়ে পিষ্ট হয়ে ছয়জন মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৭ পুণ্যার্থী।

গতকাল হাজার হাজার পুণ্যার্থী বাঁশের বাঁকে করে কলকাতার বাগবাজারের গঙ্গা নদীর জল নিয়ে কচুয়ায় লোকনাথ মন্দিরে ঢালার জন্য হেঁটে রওনা হন। রাতেই তাঁরা পৌঁছে যান কচুয়ার মন্দির চত্বরে। কলকাতা থেকে কচুয়া লোকনাথ মন্দিরের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার।

গতকাল রাত দুইটার দিকে শুরু হয় প্রচণ্ড বৃষ্টি। এ সময় মন্দিরের কাছের দেয়াল হঠাৎ ভেঙে পড়ে। দেওয়ালের পাশে ছিল বেশ কিছু অস্থায়ী দোকানপাট। সেগুলোও চাপা পড়ে যায়। এ সময় মন্দিরের রাস্তায় শুরু হয়ে যায় হুড়োহুড়ি। এ সময় প্রচণ্ড ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

আহত লোকজনকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার ন্যাশনাল হাসপাতাল, পিজি হাসপাতাল , আর জি কর হাসপাতাল এবং বসিরহাট হাসপাতালে।

এই ঘটনার খবর পেয়ে আজ শুক্রবার সকালে কলকাতার ন্যাশনাল ও পিজি হাসপাতালে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আহত লোকজনকে দেখে চিকিৎসার সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া তিনি নিহত প্রত্যেক ব্যক্তির পরিবারপিছু ৫ লাখ, গুরুতর আহত প্রত্যেককে এক লাখ এবং সামান্য আহতদের ৫০ হাজার রুপি আর্থিক সহায়তা দানের কথা ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থলে উত্তর ২৪ পরগনার বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গিয়ে ঘোষণা দেন, দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয়ের জন্য তদন্ত করা হবে। মন্ত্রী ঘোষণা দেন, মন্দিরের ঢোকার রাস্তা প্রশস্ত করা হবে, যাতে দুদিক থেকে পুণ্যার্থীরা মন্দিরে ঢুকতে ও বের হতে পারেন।

অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, মন্দিরের নিরাপত্তায় ঘাটতি ছিল বলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।