রাহুলকে কাশ্মীরে ঢুকতে না দেওয়ায় চটেছেন প্রিয়াঙ্কা

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীকে ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে অবস্থান করতে না দেওয়ায় চটেছেন তাঁর বোন এবং দলটির উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রোববার তিনি একাধিক টুইট করেছেন।

একটি টুইটবার্তায় প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ‘কাশ্মীরের জনগণের সব ধরনের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এর থেকে বেশি রাজনৈতিক এবং দেশবিরোধী আর কিছু হতে পারে না। আমাদের সবার দায়িত্ব এর প্রতিবাদ করা। আমরা প্রতিবাদ করতে পিছপা হব না।’

৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে ভারত সরকার। এই ঘোষণা দেওয়ার আগেই সেখানে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস

প্রিয়াঙ্কা অপর এক টুইটে একটি ভিডিও জুড়ে দিয়েছেন। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের বিমানবন্দরে রাহুলের সঙ্গে কথা বলছেন এক নারী। কাশ্মীরের অবরুদ্ধ অবস্থার কারণে তাঁরা কী কী সংকটের মুখে পড়েছেন, সেই বিষয়ে রাহুলকে অবহিত করছেন তিনি। এই টুইটে প্রিয়াঙ্কা লেখেন, ‘এই অবস্থা আরও কত দিন চলবে। জাতীয়তাবাদের নামে যে লাখো মানুষের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের একজন এই নারী।’

কাশ্মীরের সরেজমিন চিত্র দেখার জন্য গত শনিবার শ্রীনগর গিয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু রাহুলসহ বিরোধী নেতাদের বিমানবন্দর থেকেই ফিরিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর রাহুল বলেন, এই ঘটনা প্রমাণ করে যে কাশ্মীরের অবস্থা স্বাভাবিক নয়। তিনি আরও বলেন, ‘কয়েক দিন আগে জম্মু-কাশ্মীরের গভর্নর সত্য পাল মালিক সেখানে যেতে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমি সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলাম। কাশ্মীরে যেতে উড়োজাহাজ পাঠাতে চেয়েছিলেন তিনি। আমি তাঁকে বলেছিলাম, আমার উড়োজাহাজ দরকার নেই। আমি কাশ্মীর আসব।’

কাশ্মীরের উদ্দেশে যাত্রা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে কাশ্মীরে তথ্য ও জনসংযোগ দপ্তর জানিয়ে দেয়, এই মুহূর্তে কোনো রাজনীতিকের কাশ্মীর সফর করা উচিত হবে না। এ ধরনের সফর সাধারণ মানুষকে সংকটের মধ্যে ফেলতে পারে।