এনআরসিতে নাম না থাকলেও আটক নয়, জানাল ভারত

আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে (এনআরসি) যাদের নাম ওঠেনি, তাদের একজনকেও আটক করা হবে না। আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত তারা সব ধরনের রাষ্ট্রীয় অধিকার ভোগ করতে পারবে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার আজ রোববার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি এ কথাও বলেছেন, নাগরিকপঞ্জি তৈরি একটা স্বচ্ছ, বিধিসম্মত ও আইনি প্রক্রিয়া। যা কিছু হয়েছে ও হচ্ছে, সবকিছুই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ও তদারকিতে। সরকার যা করছে, তা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী। সরকারের ইচ্ছায় কিছু হচ্ছে না।

যে পদ্ধতিতে এনআরসি তৈরি করা হয়েছে, তা বিজ্ঞানভিত্তিক। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য জোগাড় করা হয়নি। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নাগরিকদের আবেদনের ভিত্তিতে। এর অর্থ, যাঁর কাছে প্রয়োজনীয় নথি রয়েছে, তিনিই তালিকাভুক্ত হতে পারেন। বিবৃতিতে এ কথা বলে জানানো হয়েছে, এই পদ্ধতি বৈষম্যমূলক নয়, পক্ষপাতবিহীন এবং অবিচারের কোনো উপায় নেই। এই কারণে আবেদনপত্রে আবেদনকারীর ধর্ম সম্বন্ধে কিছু জানতে চাওয়া হয়নি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, যাদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় ওঠেনি, তাদের ‘স্টেটলেস’ বলা যাবে না, আইনত ‘বিদেশি’ও বলা যাবে না। যে যে সুবিধা সে ভোগ করে আসছে, তাতে কোনো রকম হেরফের ঘটানো হবে না। তালিকায় নাম না থাকা মানুষজনকে সব ধরনের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আসাম সরকার বিনা খরচে আইনি সাহায্য দেওয়ার কথাও জানিয়েছে। এতে দরিদ্র জনতার উপকার হবে। এনআরসি নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত ও তার রূপায়ণ হচ্ছে ভারতীয় আইন মোতাবেক ও ভারতীয় গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য অনুযায়ী।

গতকাল শনিবার সকালে অনলাইনে এনআরসির তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায়, আসামের ১৯ লাখ ৬ হাজার মানুষ এর থেকে বাদ পড়েছে। অর্থাৎ আসামে বাস করলেও তাদের নাম এনআরসির তালিকায় নেই।

আর এই এনআরসি তালিকা নিয়েও ভারতে তীব্র রাজনৈতিক বাদানুবাদ শুরু হয়েছে। এমনকি শাসক দল বিজেপিও এই তালিকায় অখুশি।