ইয়েমেনে সৌদি জোটের বিমান হামলায় শতাধিক নিহত: রেডক্রস

ইয়েমেনে বিমান হামলায় নিহত লোকজনের দেহ জড়ো করছে রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা। ছবি: রয়টার্স
ইয়েমেনে বিমান হামলায় নিহত লোকজনের দেহ জড়ো করছে রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা। ছবি: রয়টার্স

আরব বিশ্বের দেশ ইয়েমেনের একটি বন্দিশিবিরে সৌদি আরব সমর্থিত জোটের একাধিক বিমান হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি) এই তথ্য জানিয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার ইয়েমেনের দামার শহরের একটি বন্দিশিবিরে হামলা চালানো হয়। আইসিআরসি বলেছে, বিমান হামলায় আহত অন্তত ৪০ ব্যক্তিকে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।

হামলায় আহত লোকজনকে উদ্ধারের জন্য নিজস্ব দল পাঠিয়েছে আইসিআরসি। ইয়েমেনে অবস্থানরত আইসিআরসির প্রতিনিধি ফ্রাঞ্জ রাউচেনস্টেইন এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা ধারণা করছি বিমান হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করতে আমাদের দল নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।’ ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে জীবিত অবস্থায় কাউকে উদ্ধার করার সম্ভাবনা খুব কম বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছয়টি বিমান হামলার শব্দ শুনতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দামার শহরের স্থানীয় লোকজন। ইয়েমেন সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসা হুতি বিদ্রোহী গ্রুপ দাবি করেছে, সৌদি সমর্থিত জোটই এই হামলা চালিয়েছে। আর সৌদি সমর্থিত জোটের দাবি, একটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতেই এই আক্রমণ চালিয়েছে তারা।

২০১৫ সাল থেকেই ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ চলে আসছে। বিদ্রোহী গ্রুপ হুতির আক্রমণে রাজধানী সানা ছেড়ে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট আবদ-রাব্বু মনসুর হাদি ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা। সৌদি আরব শুরু থেকেই হাদি সরকারকে সমর্থন জানিয়ে আসছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বহুবার বিমান হামলা চালিয়েছে সৌদি সমর্থিত জোট।

গৃহযুদ্ধের কারণে চার বছর ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছে ইয়েমেনের সাধারণ মানুষ। দেশটির ২ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ নিরাপত্তা সংকটে ভুগছে। সেখানকার প্রায় ১ কোটি মানুষ খাবারের জন্য বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। জাতিসংঘের ধারণা, একের পর এক হামলার কারণে ২০১৬ সাল থেকে ইয়েমেনে ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন।