'পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতির শাসন জারির সময় হয়ে গেছে'

বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে। অশান্তির আবর্তে গোটা রাজ্য। সাংসদের জীবনের নিরাপত্তা নেই। সরকারি দলের হাতে আক্রমণের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। রাজ্যে গণতন্ত্র লুণ্ঠিত। তাই এখন এ রাজ্যে সংবিধানের ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করে রাষ্ট্রপতির শাসন জারির সময় হয়ে গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার কলকাতার শ্যামবাজারে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন রাহুল সিনহা।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাহুল সিনহা আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। এমন অবস্থা আরও কয়েক দিন চলতে থাকলে বাংলার সব জায়গা থেকে রাষ্ট্রপতির শাসনের দাবি উঠবে। কাশ্মীর থেকে উঠে গেছে ৩৭০ ধারা। আর বাংলায় ৩৫৬ ধারা (রাষ্ট্রপতির শাসন জারি) প্রয়োগের সময় নিকটে চলে আসছে।

রাহুল সিনহা বলেন, ‘দিদি (মমতা) এবার বুঝতে পেরেছেন, মানুষ আর তাঁকে চায় না। তাই হিংসার রাজনীতি শুরু করেছেন তিনি। কিন্তু এভাবে বেশি দিন গদি টিকিয়ে রাখতে পারবেন না তিনি।’

রাহুল সিনহা জোর দিয়ে বলেন, ‘২০২১ সাল পর্যন্ত দিদির সরকার চলবে না। কারণ, প্রশাসনের লোকজনও এখন দিদির ওপর ভরসা রাখতে পারছে না। পুলিশও তৃণমূলের সমর্থকদের হাতে মার খাচ্ছে। টেবিলের তলায় ফাইল নিয়ে মাথা গুঁজে বাঁচতে হচ্ছে। আমরা ক্ষমতায় এলে স্বচ্ছ প্রশাসন দেব। পুলিশকে কাজের স্বাধীনতা দেব।’

গতকাল বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেছেন, ‘পুলিশ মমতার তাঁবেদারি করে নিজেদের উর্দির বদনাম করছে। রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করছে। আঘাত করছে বিজেপির সাংসদকে। মমতার পায়ের তলার মাটি যে আলগা হয়ে গেছে, তা তিনি বুঝে গেছেন। তাই মমতা এবার পুলিশকে তাঁবেদার বানিয়ে রাজ্যে অস্থিরতা তৈরি করছেন। জনগণ এটা বুঝে গেছে। মমতাকে ফেলার সময় এসে গেছে।’

সৌমিত্র খাঁ মমতাকে একজন বহুরূপী নাট্যকার হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, মমতার মতো একজন বহুরূপী নাট্যকার এর আগে এই রাজ্যে জন্মেছেন কি না, তা তাঁর জানা নেই। তিনি যে বহুরূপী নাট্যকার, তা প্রমাণিত হয়ে গেছে।