পারমাণবিক অস্ত্র ইস্যুতে বাধা দেওয়া অপ্রত্যাশিত: এরদোয়ান

ইসরায়েলের মতো তুরস্কের জন্যও একই ছাড়পত্র চান এরদোয়ান। ছবি: রয়টার্স।
ইসরায়েলের মতো তুরস্কের জন্যও একই ছাড়পত্র চান এরদোয়ান। ছবি: রয়টার্স।

পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিতে আঙ্কারাকে বাধা দেওয়ার বিষয়টি খুবই অপ্রত্যাশিত বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তবে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে তুরস্ক কোনো পরিকল্পনা করছে কি না, তা–ও বলেননি তিনি।

স্থানীয় সময় বুধবার তুরস্কের পূর্বাঞ্চলের সিভাস এলাকায় ক্ষমতাসীন একে পার্টির সদস্যদের এরদোয়ান বলেন, ‘কিছু দেশের একটি-দুটি নয়, একাধিক পারমাণবিক ওয়ারহেডসহ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। কিন্তু তারা আমাদের বলে, আমরা পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারব না। এ আমি কিছুতেই মানতে পারি না।’

এরদোয়ান আরও বলেন, পৃথিবীতে এমন কোনো উন্নত জাতি নেই, যাদের কাছে অস্ত্র নেই।

তুরস্ক ১৯৮০ সালে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে সই করে। ১৯৯৬ সালে সমন্বিত পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধ চুক্তিতেও সই করে দেশটি। এ চুক্তির আওতায় যেকোনো উদ্দেশ্যে পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

এরদোয়ান ইসরায়েলের মতো তুরস্কের সুরক্ষা চান। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল আমাদের প্রতিবেশী। পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে তারা অন্য দেশকে ভয় দেখায়। কেউ তাদের কিছু বলতে পারে না।’

বিদেশি বিশ্লেষকেরা বলেছেন, ইসরায়েলের বিশাল পারমাণবিক অস্ত্রাগার রয়েছে। পারমাণবিক ইস্যু নিয়ে ইসরায়েল অস্পষ্টতার নীতি বজায় রেখেছে। তারা পারমাণবিক সামর্থ্যের কথা নিশ্চিতও করেনি, অস্বীকারও করেনি।