দূষণ কমাতে কৃত্রিম মেঘ

ধোঁয়াশায় আচ্ছন্ন শহর। গতকাল মালয়েশিয়ার বর্নিও দ্বীপের সারাওয়াক রাজ্যের রাজধানী খুচিংয়ে। ছবি: এএফপি
ধোঁয়াশায় আচ্ছন্ন শহর। গতকাল মালয়েশিয়ার বর্নিও দ্বীপের সারাওয়াক রাজ্যের রাজধানী খুচিংয়ে। ছবি: এএফপি

পাশের দেশ ইন্দোনেশিয়ার দূষিত বায়ু আর ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে আকাশ। অস্বস্তিতে বাসিন্দারা। চোখে ও গলায় জ্বালাপোড়াও হচ্ছে কারও কারও। উপায় না দেখে দূষণ কমাতে কৃত্রিম মেঘ পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে মালয়েশিয়া। বলা হচ্ছে, এতে বৃষ্টি হবে, কেটে যাবে ধোঁয়াশা। স্বস্তি পাবেন বাসিন্দারা।

মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ গতকাল সোমবার বলেছে, প্রতিবেশী ইন্দোনেশিয়ার বনাঞ্চলে মানবসৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডের কারণে শুষ্ক মৌসুমে তাদের দেশের কিছু কিছু অঞ্চল ধোঁয়াশায় ছেয়ে যাচ্ছে। বর্নিও দ্বীপটি ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনেইয়ের মধ্যে পড়েছে। এই দ্বীপে মালয়েশিয়ার অংশে পড়েছে সাবাহ ও সারাওয়াক রাজ্য। এর মধ্যে সারাওয়াক কয়েক দিন ধরে ধোঁয়াশায় আচ্ছন্ন রয়েছে।

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর ও পার্শ্ববর্তী দেশ সিঙ্গাপুরেও গতকাল সোমবার আকাশ ধোঁয়াশাচ্ছন্ন ছিল। পোড়া গন্ধও পাওয়া যাচ্ছিল। কুয়ালালামপুরের কোনো কোনো বাসিন্দা চোখে ও গলায় জ্বালাপোড়ার কথা জানান।

তবে সারাওয়াকের দূষণের মাত্রা কোথাও কোথাও ‘অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর মাত্রায়’ পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা গ্যারি থেসেইরা। তিনি বলেন, সারাওয়াকের খুচিংয়ে প্রায় পাঁচ লাখ লোকের বসবাস। ওই এলাকার পরিস্থিতি অত্যন্ত মারাত্মক।

খুচিংয়ের বাসিন্দা বু সিয়াং ভুন বলেন, ‘এখানকার বাসিন্দারা মাস্ক পরতে বাধ্য হচ্ছে। বন জ্বালিয়ে–পুড়িয়ে সৃষ্ট ধোঁয়ার কারণে আমরা কেন স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির মুখে পড়ব? আমরা সমাধান চাই।’

সংকট সমাধানের পরিকল্পনার বিষয়ে মালয়েশিয়ার পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা গ্যারি থেসেইরা বলেন, উড়োজাহাজে করে রাসায়নিক নিয়ে মেঘে ছেড়ে দেওয়া হবে। শুষ্ক মৌসুমে বৃষ্টি আনতে কিছু কিছু দেশ এ ধরনের উদ্যোগ নেয়।