শিশুটির সঙ্গে নাইন-ইলেভেনের এত সখ্য

নাইন-ইলেভেনে রাত ৯টা ১১ মিনিটে জন্ম নেওয়া ৯ পাউন্ড ১১ আউন্স ওজনের শিশু ক্রিস্টিনা। ছবি: মেথডিস্ট লেবনহিউর হাসপাতালের ওয়েবসাইটের সৌজন্যে
নাইন-ইলেভেনে রাত ৯টা ১১ মিনিটে জন্ম নেওয়া ৯ পাউন্ড ১১ আউন্স ওজনের শিশু ক্রিস্টিনা। ছবি: মেথডিস্ট লেবনহিউর হাসপাতালের ওয়েবসাইটের সৌজন্যে

নবজাতকটির জন্ম হয়েছে বিশেষ এক দিনে। যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ারে চালানো আত্মঘাতী বিমান হামলার ১৮তম বর্ষপূর্তির দিন গত বুধবার জন্ম নেয় শিশুটি। জন্ম নেওয়ার সময়টিও কাকতালীয়। রাত ৯টা ১১ মিনিটে পৃথিবীর আলো দেখে শিশুটি। কাকতালীয় ঘটনার শেষ নয় এখানেই। জন্মানোর পর শিশুটির ওজন ছিল ৯ পাউন্ড ১১ আউন্স!

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাকতালীয় এই ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেনিসি রাজ্যের একটি হাসপাতালে। মেথডিস্ট লেবনহিউর হাসপাতালে জন্ম নেওয়া শিশুটির নাম রাখা হয়েছে ক্রিস্টিনা ব্রাউন। মেয়ের জন্মের তারিখ, সময় ও ওজনের এই অদ্ভুত মিল দেখে বিষয়টিকে ‘অলৌকিক ঘটনা’ বলেও উল্লেখ করেছেন শিশুটির মা ক্যামেট্রিওন মুর-ব্রাউন।

কাকতালীয় এ ঘটনায় অবাক হয়েছেন শিশুটির বাবা জাস্টিন ব্রাউনও। তিনি বলেছেন, ‘আমরা শুনছিলাম চিকিৎসকেরা ঘোষণা করছেন, রাত ৯টা ১১ মিনিটে আমাদের মেয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। এরপর যখন ওর ওজন মাপা হলো, আমরা সবার চোখে-মুখে বিস্ময়ের ছাপ দেখতে পাচ্ছিলাম। পরে সবাই বুঝতে পারলাম, আমাদের মেয়ে নাইন-ইলেভেনে রাত ৯টা ১১ মিনিটে জন্মেছে এবং ওর ওজন ৯ পাউন্ড ১১ আউন্স। পুরো বিষয়টি দারুণ রোমাঞ্চকর ছিল, বিশেষ করে এই ট্র্যাজেডির দিনে এমন সুখবর পাওয়াটা সত্যিই আনন্দের।’

মেয়ের জন্মের তারিখ, সময় ও ওজনের এমন আকস্মিকতায় অবাক হয়েছেন ক্রিস্টিনার বাবা-মাও।  ছবি: মেথডিস্ট লেবনহিউর হাসপাতালের ওয়েবসাইটের সৌজন্যে
মেয়ের জন্মের তারিখ, সময় ও ওজনের এমন আকস্মিকতায় অবাক হয়েছেন ক্রিস্টিনার বাবা-মাও। ছবি: মেথডিস্ট লেবনহিউর হাসপাতালের ওয়েবসাইটের সৌজন্যে

হাসপাতালের নারী সেবা বিভাগের প্রধান রাচেল লাফলিন এমন ঘটনায় রীতিমতো বিস্মিত। এমন কাকতালীয় ঘটনাকে ‘খুবই বিরল’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি, ‘আমি ৩৫ বছর ধরে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আছি। কিন্তু কোনো নবজাতকের জন্মের তারিখ, সময় ও ওজনের এমন বিস্ময়কর মিল আমি এর আগে কখনো দেখিনি। এটি খুবই বিশেষ একটি ঘটনা। বিষাদের এই দিনে ক্রিস্টিনা একগুচ্ছ আশা ও আনন্দ নিয়ে আমাদের মধ্যে এসেছে। এমন ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে পারাটাও বিরল।’

মেয়ে যখন বড় হবে, তখন কাকতালীয় এই ঘটনার কথা মেয়ের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেবেন বলেও জানিয়েছেন নবজাতকটির বাবা-মা।