সৌদিতে হামলা নিয়ে ন্যাটোর উদ্বেগ

সব ধরনের হামলা প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছে ন্যাটো। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
সব ধরনের হামলা প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছে ন্যাটো। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

ন্যাটোর সামরিক জোটের প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ সৌদি আরবের দুটি তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ হামলার জের ধরে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংঘাতের আশঙ্কা করছেন তিনি।

জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, ইরান ‘পুরো অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলছে’। এর আগে গতকাল সোমবার কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি ও গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, ইরানই ওই হামলার জন্য দায়ী।

তবে ইরান শুরু থেকেই শনিবারের ওই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, ‘ইয়েমেনের জনগণ তাদের প্রতিরক্ষামূলক বৈধ অধিকার প্রয়োগ করছে।’

ইরানের সঙ্গে জোটবদ্ধ ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা তেল স্থাপনায় হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হামলার ধরন ও ব্যাপকতা বিবেচনা করে জানিয়েছে, হুতিদের পক্ষে এমন হামলা চালানো সম্ভব নয়। ইয়েমেনের সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের বিশ্বাস, ইরান হুতিদের প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহ করেছে।

জেনস স্টলটেনবার্গ গতকাল সোমবার সংবাদ সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেন, ‘এ জাতীয় হামলা প্রতিহত করতে আমরা সব পক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি। এর ফলে পুরো অঞ্চলে নেতিবাচক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এমন হামলা থেকে আঞ্চলিক সংঘাত বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিয়েও আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।’

সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলে গত শনিবার ভোরে আরামকোর সবচেয়ে বড় তেল পরিশোধনাগার আবকায়িক ও খুরাইসে ড্রোন হামলা হয়। হামলার পরপরই দুটি কেন্দ্রে ভয়াবহ আগুন ধরে যায়। ওই হামলায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে এর কারণে সৌদি আরবের দৈনিক তেল উৎপাদন অর্ধেকের বেশি কমে গেছে। এতে বৈশ্বিক বাজারে তেলের সরবরাহ কমেছে ৫ শতাংশ। গতকাল সোমবার এর প্রভাব পড়ে। বৈশ্বিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম সর্বোচ্চ ১৯ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব বৈশ্বিক বাজারে দৈনিক ৭০ লাখের বেশি ব্যারেল তেল সরবরাহ করে। তেলের স্থাপনায় হামলার কারণে দেশটির উৎপাদন তাৎক্ষণিকভাবে ৫৭ লাখ ব্যারেল কমে গেছে।