ইস্তাম্বুলের সেই ভবন বেচে দিল সৌদি আরব

সাংবাদিক জামাল খাসোগি। ফাইল ছবি
সাংবাদিক জামাল খাসোগি। ফাইল ছবি

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছে সৌদি সরকার।

তুরস্কের হ্যাবারতার্ক টেলিভিশনে ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেট বিক্রিসংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে আল-জাজিরা ও তবে মিডল ইস্ট আই খবর প্রকাশ করেছে।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি এই কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছিল। ছবি: এএফপি
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি এই কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছিল। ছবি: এএফপি

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক মাসের বেশি আগে ওই ভবন বাজারমূল্যের এক-তৃতীয়াংশের কম দামে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

৫৯ বছর বয়সী খাসোগিকে গত বছরের ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে হত্যা করা হয়।

হ্যাবারতার্ক টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের লেভেন্ট এলাকার সৌদি কনস্যুলেটের ওই ভবন অজ্ঞাতনামা এক ক্রেতার কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এরপরই সৌদি আরব তুরস্কের সারিয়ের অঞ্চলে কনস্যুলেটের জন্য নতুন একটি ভবন কিনেছে। সারিয়ার একটি জেলা শহর। ওই এলাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট আছে।

ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে জামাল খাসোগিকে হত্যার পর কেটে টুকরো টুকরো করা হয়েছিল। ছবি: টুইটার
ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে জামাল খাসোগিকে হত্যার পর কেটে টুকরো টুকরো করা হয়েছিল। ছবি: টুইটার

হ্যাবারতার্ক টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, কোনো সম্পত্তি বিক্রি করার আগে এ বিষয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হয়। তাই সৌদি আরব ওই কনস্যুলেট বিক্রি করলে এ ক্ষেত্রেও তাদের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তবে মিডল ইস্ট আইকে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, সৌদি কনস্যুলেটের ওই ভবন বিক্রির কোনো নিশ্চিত তথ্য তাঁদের কাছে নেই।

হ্যাবারতার্ক টেলিভিশনের ওই প্রতিবেদনে ভবন বিক্রির কোনো তথ্যসূত্র নেই। ভবন বিক্রি হয়েছে, খবরে শুধু এ কথা জানানো হয়েছে।

৫৯ বছর বয়সী খাসোগি গত বছরের ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে কাগজপত্র ইস্যু করার জন্য প্রবেশ করেন। সেখানে তাঁকে হত্যা করা হয়। তখন বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ হয়েছিল, জামাল খাসোগিকে সাত মিনিটেই হত্যা করা হয়েছিল। হত্যার আগে নির্যাতনও করা হয়েছে। পরে একজন সৌদি ফরেনসিকের নেতৃত্বে খাসোগির মৃতদেহ টুকরো টুকরো করা হয়। এরপর টুকরোগুলো অ্যাসিড দিয়ে গলিয়ে ফেলা হয়। এ জন্য খাসোগির মৃতদেহ কখনো আর পাওয়া যায়নি। কোনো কোনো গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হত্যার পর সাংবাদিক জামাল খাসোগির একটি আঙুল সৌদি আরবে নিয়ে গিয়েছিলেন ঘাতক দলের সদস্যরা। হত্যা মিশন সফল হয়েছে প্রমাণ করতেই সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এই আদেশ দিয়েছিলেন বলেও খবর প্রকাশিত হয়।