সৌদিতে ড্রোন হামলা ইরান থেকেই: যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় গত শনিবারের হামলায় ব্যবহৃত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইরান থেকে ছোড়া হয়েছিল। ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তারা গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ড্রোনের অবস্থান ছিল পারস্য উপসাগরের উত্তর প্রান্তে (দক্ষিণ ইরানে)।

বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইয়েমেনের আক্রমণ প্রতিহত করতে সৌদি আরব প্রতিরক্ষাব্যবস্থা রয়েছে। সেগুলো আছে দক্ষিণমুখী অবস্থানে। তাই সেদিক আসলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে পারত সৌদি প্রতিরক্ষা অধিদপ্তর। কিন্তু হামলা এর উল্টো দিকে হওয়ায় আক্রমণ প্রতিহত করা সম্ভব হয়নি সৌদি আরবের।

সৌদি আরবে হামলার পরপরই ইরান মদদপুষ্ট ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা এর দায় স্বীকার করেন। তবে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি ও গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, ইরানই ওই হামলার জন্য দায়ী। যদিও তেহরান ওই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, ‘ইয়েমেনের জনগণ তাদের প্রতিরক্ষামূলক বৈধ অধিকার প্রয়োগ করছে।’

ইয়েমেনের ইরান-জোটযুক্ত হুতি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, শনিবার ভোরে তারা আরামকোর সবচেয়ে বড় তেল পরিশোধনাগার আবকায়িক ও খুরাইসে ড্রোন হামলা চালায়।

হুতি বিদ্রোহীরা এর আগেও সৌদি আরবে হামলা চালিয়েছে। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা রোববার বলেন, এবার ড্রোন ও মিসাইলগুলো দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে উৎক্ষেপ করা হয়নি। বরং তাদের বিশ্বাস, উত্তর বা উত্তর-পশ্চিমের ইরান অঞ্চল থেকে এ হামলা চালানো হয়েছে।

শনিবারের হামলার পর তেলের দাম ২০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। একপর্যায়ে এক ব্যারেল তেলের দাম প্রায় ৭২ ডলারে পৌঁছেছিল। তবে এর ফলে বৈশ্বিক বাজারের অবস্থা যতটা খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা হয়নি। কমতে শুরু করেছে তেলের দাম।

মঙ্গলবার সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী জানান, তিনি আশা করছেন এ মাসের শেষ দিকে তেল উৎপাদন পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। শনিবারের হামলার কারণে গত সোমবার বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার দামের কিছুটা সমন্বয় হয়। ৭ শতাংশ কমে তেলের দাম।