কলকাতায় গাড়িচাপায় দুই বাংলাদেশি নিহতের মামলায় অভিযোগপত্র

রাঘিব আরসালান। ছবি: সংগৃহীত
রাঘিব আরসালান। ছবি: সংগৃহীত

কলকাতায় দুই বাংলাদেশিকে চাপা দেওয়া জাগুয়ার গাড়ির চালক রাঘিব আরসালান, তাঁর ছোট ভাই পারভেজ আরসালান ও তাঁদের মামা মহম্মদ হামজার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। আজ বুধবার এই তিনজনের বিরুদ্ধে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে এ অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

রাঘিব আরসালানের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুন এবং পারভেজ আরসালান ও মহম্মদ হামজার বিরুদ্ধে তথ্য গোপন ও মিথ্যে তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ১৬ আগস্ট গভীর রাতে কলকাতার লাউডন স্ট্রিটের ক্রসিংয়ে দুই বাংলাদেশিকে চাপা দেয় রাঘিবের গাড়ি।

ওই দুর্ঘটনায় নিহত দুই বাংলাদেশি হলেন, কাজী মুহম্মদ মইনুল আলম (৩৬) ও ফারহানা ইসলাম (৩০)। এতে কাজী সফি রহমতউল্লাহ নামের আরেক বাংলাদেশি আহত হন। তিনি নিহত মইনুলের আত্মীয়। তাঁরা দুর্ঘটনার দুদিন আগে ১৪ আগস্ট চিকিৎসা ও বেড়ানোর জন্য কলকাতায় যান। তাঁরা কলকাতার মার্কুইস স্ট্রিটের একটি হোটেলে উঠেছিলেন। ঘটনার দিন রাতে খাবার খেতে ওই তিনজন হোটেল থেকে বের হন। খাবার খেয়ে ফেরার পথে সড়কের পাশে তাঁদের চাপা দেয় ওই জাগুয়ার। ঘটনার সময় ভারী বৃষ্টিপাত হওয়া তাঁরা রাস্তার পাশের একটি পুলিশ বক্সের নিচে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানেই আঘাত করে দ্রুত গতির জাগুয়ার।

দুর্ঘটনার পরপরই ওই জাগুয়ার রেখে চালক পালিয়ে যান। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই গাড়িটি কলকাতার দামি চেইন রেস্তোরাঁ আরসালান এর নামে নিবন্ধিত। ঘটনার সময় গাড়িটি চালাচ্ছিলেন ওই রেস্তোরাঁ মালিকের বড় ছেলে রাঘিব আরসালান। তবে ঘটনার পর পরিবার থেকে বলা হয়েছিল গাড়ি চালিয়েছিল ছোট ছেলে পারভেজ আরসালান। ব্যবসায়িক কারণে আরসালন পরিবার বড় ছেলের বদলে ছোট ছেলের নাম পুলিশকে বলেছিল। তবে গ্রেপ্তারের পর পারভেজ প্রকৃত তথ্য স্বীকার করেন। পারভেজ ও তাঁর বাবা পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছেন, এই চেইন রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাঘিব আরসালান। ব্যবসায়িক ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতেই তাঁরা বড় ছেলের বদলে ছোট ছেলের নাম বলেছিল। ঘটনার পরপরই রাঘিব তাঁর মামা হামজার সহযোগিতায় দুবাই চলে যান।

অবশ্য পরে কলকাতার পুলিশ রাঘিবকে দুবাই থেকে ফিরিয়ে এনে গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয় তাঁর মামাকেও।