নির্বাচনে নেতানিয়াহু-গান্টজ সমানে সমান

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও বেনি গান্টজ। ছবি: রয়টার্স
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও বেনি গান্টজ। ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বেনি গান্টজের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। দেশটির গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত সবশেষ খবর অনুযায়ী, দুজনের কেউই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেননি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোটফেরত জরিপ অনুযায়ী নেতানিয়াহু ও সাবেক সামরিক প্রধান গান্টজ দুজনেই এখন পর্যন্ত সমানসংখ্যক আসনে জিতেছেন। নির্বাচনের আগে সবশেষ জনমত জরিপে নেতানিয়াহুর ডানপন্থী লিকুদ পার্টির সঙ্গে বেনি গান্টজের মধ্যপন্থী ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টির হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গিয়েছিল। নির্বাচনের ফলাফলে সেই আভাসেরই সত্যতা মিলছে।

ইসরায়েলের প্রধান দুটি টেলিভিশন চ্যানেল ‘চ্যানেল টুয়েলভ’ ও ‘চ্যানেল থার্টিন’ বলছে, নেতানিয়াহু ও গান্টজের দল উভয়েই ৩২টি করে আসন পেয়েছে। অন্য ছোট ছোট দলের সমর্থন নিয়ে দুটি দলই শেষ পর্যন্ত ৫৫-৫৬টি আসন পেতে পারে—এমন অনুমানও করছে তারা।

ইসরায়েলের সংবিধান অনুযায়ী, কোনো দল যদি নির্বাচনে এককভাবে ১২০টি আসন না পায়, তাহলে আলোচনার ভিত্তিতে কোয়ালিশন বা জোট সরকার গঠন করা যাবে।

গতকাল মঙ্গলবার তেল আবিবে নিজ দলের নির্বাচনী সদর দপ্তরে সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দেন দেশটির রেকর্ড পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া সেই ভাষণে জয়ের ব্যাপারে জোর গলায় কোনো দাবি করতে পারেননি তিনি। আবার পরাজয়ও মেনে নেননি। ফল ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করছেন বলে সমর্থকদের জানান তিনি।

অপরদিকে বেনি গান্টজ তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, ‘আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করেছি।’ ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠনের জন্য কাজ করার আহ্বানও জানিয়ে রেখেছেন তিনি। তবে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে নেতানিয়াহুর সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করবেন না—এমন ঘোষণাও দিয়ে রেখেছেন গান্টজ। নেতানিয়াহুর বিপক্ষে তিনটি দুর্নীতির মামলা চলছে।

গত এপ্রিলে ইসরায়েলে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনেও দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। নেতানিয়াহুর দল পেয়েছিল ৩৬ আসন, আর গান্টজের দল পেয়েছিল ৩৫ আসন। ৯ এপ্রিলের সেই নির্বাচনে কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় দফায় সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। ইসরায়েলের ইতিহাসে এই প্রথম এক বছরে দুবার সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের ঘটনা ঘটল।