জঙ্গিরা কি চাঁদ থেকে এসেছে, পাকিস্তানকে ইইউ নেতারা

বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকে কাশ্মীরে চলছে উত্তেজনা। রয়টার্সের ফাইল ছবি
বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকে কাশ্মীরে চলছে উত্তেজনা। রয়টার্সের ফাইল ছবি

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য রিসার্ড চার্জনায়েস্কি ও ফুলভিও মার্তুসিয়েলো কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে সমর্থন জানিয়েছেন। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বিশেষ বিতর্ক চলাকালে ভারতকে সুপ্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। একই অধিবেশনে জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের নিন্দা জানান পার্লামেন্টের ওই দুই সদস্য।

মঙ্গলবার কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত বিতর্কে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পার্লামেন্ট এবং পোল্যান্ডের ইউরোপীয় রক্ষণশীল ও সংস্কারবাদী গ্রুপের সদস্য চার্জনায়েস্কি ভারতকে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ বলে অভিহিত করেছেন।

চার্জনায়েস্কি বলেন, ‘ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ। ভারত, জম্মু ও কাশ্মীরে যেসব ঘটছে সেদিকে আমাদের নজর দেওয়া দরকার। এই জঙ্গিরা চাঁদ থেকে আসেনি। তারা প্রতিবেশী দেশ থেকে এসেছিল। আমাদের ভারতকে সমর্থন করা উচিত।’

ইইউ পার্লামেন্টের সদস্য এবং ইতালির ইউরোপীয় পিপলস পার্টির (খ্রিষ্টান ডেমোক্র্যাটস) সদস্য মার্তুসিয়েলো বলেছেন, পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছে। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য উদ্বেগজনক।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ইসলামাবাদকে অভিযুক্ত করে মার্তুসিয়েলো বলেন, পাকিস্তান এমন একটি জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে বসে জঙ্গিরা ইউরোপে রক্তাক্ত সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করতে সক্ষম হয়েছিল।

ইউরোপীয় কমিশনের সহসভাপতি ফেদেরিকা মোগেরিনীর পক্ষে বিতর্কটির উদ্বোধন করেন ইইউর মন্ত্রী তিতি টুপুরেয়নেন। উদ্বোধনী বক্তব্যে পাকিস্তানকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, কাশ্মীরে আর কোনো দেশ এভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বাড়াতে পারেনি।

ইইউ মন্ত্রী তিতি নিয়ন্ত্রণ রেখার উভয় পক্ষের কাশ্মীরি জনগণের স্বার্থকে সম্মান জানান। এ অঞ্চলে বিবাদমান সমস্যার শান্তিপূর্ণ ও রাজনৈতিক সমাধানের জন্য কাশ্মীরের বিষয়টি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানকে সংলাপে বসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তাহীনতা এড়িয়ে দীর্ঘকালীন বিরোধ সমাধানের এটিই একমাত্র উপায়।’ কাশ্মীর উপত্যকায় যোগাযোগব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছেন তিতি।

৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে ভারত। পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুটিকে আন্তর্জাতিকীকরণের চেষ্টা করলেও ভারত দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা তাদের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’। ইসলামাবাদকে বাস্তবতা মেনে নিয়ে ভারতবিরোধী বক্তব্য উপস্থাপন বন্ধ করতে বলেছে নয়াদিল্লি।