ইরানকে ঠেকাতে জোট করছে যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ছবি: রয়টার্স
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জানিয়েছেন, সৌদি আরবের তেল স্থাপনার ওপর হামলার পর ইরানের হুমকি ঠেকাতে জোট গঠন করা হচ্ছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ব্রিটেন এবং বাহরাইন জানিয়েছে, তারা এ জোটে অংশ নেবে। ইরাক জানিয়েছে, তারা এতে যোগ দেবে না। বেশির ভাগ ইউরোপীয় দেশ আঞ্চলিক উত্তেজনা ডেকে আনার ভয়ে জোট গঠন করতে নারাজ।

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করেছে ইরান। ইরান জানিয়ে দিয়েছে, যেকোনো আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রয়টার্সের খবরে জানা যায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, ট্রাম্প এ সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চান। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর এ কথা বলেন তিনি।

শনিবারে সৌদি আরবে হামলার পরপরই ইরানের মদদপুষ্ট ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা এর দায় স্বীকার করে। তবে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি ও গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, ইরানই ওই হামলার জন্য দায়ী। তেহরান ওই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

রিয়াদের প্রধান মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসক আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে আলাপের পর পম্পেও তাঁর সুর নরম করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা ও শান্তিপূর্ণ সমাধান অর্জনের লক্ষ্যে জোট গঠন করতে এসেছি। এটিই আমার প্রধান উদ্দেশ্য। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চান, আমি যেন অবশ্যই আমার লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাই। আশা করছি, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানও ব্যাপারটি সেভাবেই দেখবে।’

তবে জোট সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি তিনি। পারস্য উপসাগরীয় সমুদ্রসীমায় তেলবাহী ট্যাংকারে হামলার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক সমুদ্র নিরাপত্তা জোট তৈরির চেষ্টা করছে। এ হামলার জন্যও ইরানের ওপর দোষ চাপিয়েছে ওয়াশিংটন।

পম্পেও তাঁর প্রস্তাবিত জোটকে ‘কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বৃহস্পতিবার সিএনএনকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বা সৌদি সামরিক হামলার বিরুদ্ধে যদি নিজেকে রক্ষা করতে হয় তবে ইসলামি প্রজাতন্ত্র একটুও ঘাবড়াবে না। তিনি বলেন, এ ধরনের যেকোনো হামলার বিরুদ্ধে ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’ করা হবে।

দেশটির রাষ্ট্রীয় একটি বার্তা সংস্থা জানায়, আজ শুক্রবার জারিফ কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল খালিদ আল সাবাহকে ফোন করেন। ফোনালাপে দুজন এ অঞ্চলের উত্তেজনা নিরসনের ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন।