'ইরান থেকে হামলা চালানো হলে যুদ্ধাবস্থা'

গত সপ্তাহে সৌদি আরবের তেল শোধনাগারে হামলা চালানো হয়। ছবি: রয়টার্স
গত সপ্তাহে সৌদি আরবের তেল শোধনাগারে হামলা চালানো হয়। ছবি: রয়টার্স

সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের বলেছেন, ইরানের ভূখণ্ড থেকে সৌদি আরবের তেল শোধনাগারে হামলা চালানোর বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হলে সেটিকে যুদ্ধাবস্থা বলে বিবেচনা করা হবে। তবে তদন্তে কিছু প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখার কথাও জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদেল আল-জুবায়ের গতকাল শনিবার সিএনএনকে বলেছেন, ‘আমরা ইরানকেই দায়ী বলে সন্দেহ করছি। কারণ, সৌদি আরবে যে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলো ইরানে নির্মিত ও ইরান থেকেই সরবরাহকৃত। তদন্তের পর যদি প্রমাণিত হয় যে ইরানের ভূখণ্ড থেকেই হামলা চালানো হয়েছে, তাহলে আমাদের ভিন্নভাবে ভাবতে হবে। হামলা চালানোর এই ঘটনাকে তখন যুদ্ধাবস্থা বলে বিবেচনা করা হবে।’

ইরানকে সম্ভাব্য যুদ্ধাবস্থার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে আদেল আল-জুবায়ের বলেছেন, ‘তারা (ইরান) যদি এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালাতে থাকে, তাহলে সেটি সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার আশঙ্কাকেই উসকে দেবে। কিন্তু কেউই যুদ্ধ চায় না। সবাই শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। দিন শেষে ইরানের আক্রমণাত্মক নীতির শেষ হওয়াটা সবচেয়ে বেশি দরকার।’

এর আগে আদেল আল-জুবায়ের জানিয়েছিলেন, হামলার ব্যাপারে তদন্ত করতে আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থাকে আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সে সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।

এদিকে গতকাল ইরানের এক সামরিক কর্মকর্তা হোসেইন সালামি হুমকির সুরে বলেছেন, ইরানের অভ্যন্তরে কোনো ধরনের হামলা তারা বরদাশত করবে না। আক্রমণকারী যেকোনো দেশকে ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে ইরান।

১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হামলা চালানো হয়। আবকায়িক ও খুরাইস এলাকায় এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। তবে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি ও গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, ইরান ওই হামলার জন্য দায়ী। সৌদি আরবও হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে। যদিও তেহরান ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।