করবিনকে চান না নিজ দলের সমর্থকেরাই

জেরেমি করবিন। ছবি: রয়টার্স
জেরেমি করবিন। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্য ব্রেক্সিট (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছেদ) প্রশ্ন বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। এই ইস্যুতে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি ও বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতাদের কেউই স্বস্তিতে নেই। এর মধ্যে সোমবার প্রকাশিত একটি জরিপে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে লেবারকে ভোট দেওয়া অর্ধেকের বেশি লোক দলটির নেতা জেরেমি করবিনের পদত্যাগ চান। এদিকে ব্রেক্সিট প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে গতকাল লেবার পার্টির বার্ষিক সম্মেলনে দলটির নেতাদের বৈঠক করার কথা ছিল।

করবিন ২০১৫ সালে লেবারের নেতা নির্বাচিত হন। অনলাইনভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্রিটিশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউগভের জরিপে দেখা গেছে, ২০১৭ সালে লেবার পার্টিকে ভোট দেওয়া ভোটারদের ৫৪ শতাংশ করবিনের জায়গায় নতুন কাউকে চান। আর ২৭ শতাংশ করবিনকে চান। আর ১৭ শতাংশ কোনো মতামত জানাননি। ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর ১ হাজার ৬৫০ জন প্রাপ্তবয়স্ক লেবার সমর্থকের মধ্যে জরিপটি চালানো হয়। শুধু লেবার সমর্থকই নন, সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও করবিনের জনপ্রিয়তা কমেছে। ৫৮ শতাংশ ভোটার বলেছেন, করবিনের এখনই পদত্যাগ করা উচিত। এর মধ্যে ৩৪ শতাংশ বর্তমানে লেবার সমর্থক। এদিকে গত রোববার করবিন বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে দলকে তিনি পরিচালনা করতে চান।

২০২২ সালে যুক্তরাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। তবে ব্রেক্সিট ইস্যুতে সৃষ্ট অচলাবস্থা কাটাতে ব্রিটিশ সরকার এ বছরই আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে ব্রেক্সিট নিয়ে লেবার কোন পথে এগোবে, সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল গতকালের দলটির বার্ষিক সম্মেলনে। ব্রাইটন শহরের একটি অবকাশযাপন কেন্দ্রে ওই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। জানা গেছে, দলটি দুটি সিদ্ধান্তের একটি নিয়ে সামনে এগোতে পারে। সেই দুটি সিদ্ধান্ত হচ্ছে, ব্রেক্সিট প্রশ্নে নতুন গণভোট আয়োজনের চেষ্টা করা। আর অপরটি হলো ব্রেক্সিট কার্যকরের আগে কোনো নির্বাচন নয়।

ব্রেক্সিট কার্যকরের নির্ধারিত তারিখ হলো আগামী ৩১ অক্টোবর। কনজারভেটিভ নেতা প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যেকোনো উপায়ে ওই সময়ের মধ্যেই ব্রেক্সিট কার্যকর করতে চান। বিষয়টি নিয়ে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে বরিসের। তবে তিনি বলেছেন, নিউইয়র্কেই ব্রেক্সিটের সমাধান হয়ে যাবে—এমন ভাবা ঠিক হবে না। কারণ, এখনো অনেক সমস্যা রয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে অনেক অগ্রগতিও হয়েছে।