যে কারণে খেপলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি। আইএএনএসের ফাইল ছবি
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি। আইএএনএসের ফাইল ছবি

কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৮টি দেশ পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি। এক টক শোতে তিনি এ কথা জানানোর পর তাঁর কাছে এসব দেশের নাম জানতে চাওয়া হয়। এতে খেপে যান তিনি। আজ শুক্রবার এনডিটিভির অনলাইন প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।

পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেল এক্সপ্রেস নিউজে এক টক শো চলাকালে কোরেশিকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কাশ্মীর ইস্যুতে ৫৮টি দেশ ইসলামাবাদের পক্ষ নিয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তব্যকে বারবার সমর্থন করছিলেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁর কাছে দেশগুলোর নাম জানতে চাওয়া হয়।

উত্তর না দিয়ে বরং টক শোর উপস্থাপক জাভেদ চৌধুরীকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন মাহমুদ কোরেশি। তিনি জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কার অ্যাজেন্ডা নিয়ে কাজ করছেন? জাতিসংঘে কোন দেশ পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে বা করেনি, সে ব্যাপারে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছেন? আপনি যা খুশি লিখতে পারেন!’

নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে ইমরান খানের মন্তব্যের সমর্থন জানানোর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে কোরেশি বলেন, ‘না! না! আমি যে টুইটটি লিখেছি তা আমাকে দেখান, প্রধানমন্ত্রী কী লিখেছেন সেটা নয়। আপনি আমার টুইটের কথা বলেছেন, আমাকে সেই টুইটটি দেখান। আমি আমার টুইট দেখতে চাই।’

টুইট বার্তাটি দেখানোর পরও কুরেশি দাবি করেন, তিনি টুইটটিতে কোনো ভুল খুঁজে পাননি। তিনি বলেন, ‘আমি আগেও যা বলেছি, এখনো তা-ই বলছি। এতে এত অবাক হওয়ার কী আছে? আপনি কার অ্যাজেন্ডা অনুসরণ করছেন?’

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত মাসে এক টুইট বার্তায় বলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৮টি দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। তিনি জানান, রাজ্যে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে কাশ্মীরিদের অধিকার রক্ষার দাবিতে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে দেশগুলো।

এর আগে শাহ মেহমুদ কোরেশি দাবি করেন, ভারত সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরকে ‘এই গ্রহের সবচেয়ে বড় কারাগারে’ রূপান্তর করেছে। রাজ্যে ‘মানবাধিকারকে পদদলিত করা হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে জেনেভায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের (ইউএনএইচআরসি) বৈঠকে পাকিস্তানের অভিযোগ দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত।