কাশ্মীরের অবরুদ্ধ অবস্থার অবসান চায় মার্কিন কংগ্রেস, ভ্রমণ-সতর্কতা উঠছে বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের একটি শক্তিশালী কমিটি। গতকাল সোমবার ওই কমিটি বলেছে, নয়াদিল্লির আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে কাশ্মীরিদের জীবনযাপন ও মানবকল্যাণে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।

আর যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সিনেটর কমলা হ্যারিস বলেছেন, কাশ্মীরিদের মনে রাখতে হবে, তারা বিশ্বে একা নয়, বিশ্ব তাদের পাশে আছে।

এদিকে কাশ্মীরে দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা ভ্রমণ-সতর্কতা আগামী বৃহস্পতিবার তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার।

গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা বাতিল এবং রাজ্যটিকে কেন্দ্রশাসিত দুটি অঞ্চলে বিভক্ত করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। কিছু এলাকা ছাড়া কাশ্মীরে ইন্টারনেট ও টেলিফোন সেবা এখনো বন্ধ রয়েছে। জনগণের চলাচলেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। গত দুই মাসের বেশি সময় অবরুদ্ধ জীবন যাপন করছে কাশ্মীরিরা।

ভারত ও পাকিস্তান চাইলে কাশ্মীর সংকট সমাধানে মধ্যস্থতা করার কথা জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার টুইটে মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটি বলেছে, কাশ্মীরে ভারতের যোগাযোগ স্থগিত প্রত্যেক কাশ্মীরির জীবনযাপন ও কল্যাণে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। এসব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবং ভারতের অন্য নাগরিকদের মতো কাশ্মীরিদের অধিকার নিশ্চিত করা ভারতের এখনই সময়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির মন্তব্যের এক মাস আগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতা প্রমীলা জয়পালসহ অন্য ১৩ মার্কিন আইনপ্রণেতা কাশ্মীরে মানবাধিকার রক্ষা এবং যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আহ্বান জানান।

কাশ্মীর সংকট ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অংশের বিভিন্ন বিষয়ে ২২ অক্টোবর পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির এশিয়া প্যাসিফিক ও নন-প্রলিফারেশন সাব-কমিটিতে শুনানি হবে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য কাশ্মীরকে ‘পৃথিবীর ভূস্বর্গ’ বলা হয়। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ ভ্রমণ করতে যান কাশ্মীরে। সেখানে হিন্দুদের কিছু তীর্থস্থানও রয়েছে। তীর্থযাত্রীদের জন্যও স্থানটি বেশ জনপ্রিয়।