শান্তিতে নোবেল পেলেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ

এ বছর বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক এ পুরস্কার পেয়েছেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ (৪৩)। ছবি: নোবেল ইনস্টিটিউটের সৌজন্যে
এ বছর বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক এ পুরস্কার পেয়েছেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ (৪৩)। ছবি: নোবেল ইনস্টিটিউটের সৌজন্যে

এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলী। শান্তি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য তাঁকে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার নরওয়ের স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩ টা) রাজধানী অসলো থেকে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি এবারের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে।

গত বছর ইরিত্রিয়ার সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তিতে সম্মত হয় ইথিওপিয়া। এতে দুই দেশের সীমান্ত যুদ্ধের পর গত ২০ বছরের অচলাবস্থার নিরসন হয়েছে।

পাঁচ সদস্যর নোবেল ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ব্রেইট রেইস অ্যানড্রেসেন বলেছেন, এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শান্তি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় তার প্রচেষ্টা ও প্রতিবেশি ইরিত্রিয়ার সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষ এড়াতে তার পদক্ষেপের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।

ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতেও যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন আবি। দেশটির মন্ত্রীপরিষদের অর্ধেক নারী নিয়োগ দেওয়াসহ দেশটির প্রথম নারী প্রতিরক্ষামন্ত্রীও এসেছে তার সময়ে।

ইথিওপিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করেছেন গত বছরের ১৬ অক্টোবর। দীর্ঘ এক মাসের রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থার মধ্যে গত বছরের এপ্রিলে দায়িত্ব নেন ৪৩ বছর বয়স্ক প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। তিনি বর্তমান ক্ষমতাসীনদের (ইথিওপিয়ান পিপলস রেভল্যুশনারি ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) দ্বারাই এ পদে অধিষ্ঠিত।

আবি নিগৃহীত অরম জাতিগোষ্ঠীর নেতা এবং সরকারবিরোধী আন্দোলনের ফসল তাঁর বিজয়। ২০২০ সালে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেবেন বলে তিনি শপথ নিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী প্রতিজ্ঞা করেছেন, তিনি একটি নতুন ইথিওপিয়া উপহার দেবেন। আরও প্রতিজ্ঞা করেছেন, বহুধা বিভাজিত দেশটির সব জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় সমতা আনবেন। তিনি নিজে অরম জাতিগোষ্ঠী থেকে আগত, যে অরমরা দেসেলেন একনায়কত্বের সময় নানা বঞ্চনার শিকার হয়।