রানির সমমর্যাদা চাওয়ায় দেহরক্ষীর পদবি হরণ

সিনিনাত ওংভাজিরাপাকদী। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
সিনিনাত ওংভাজিরাপাকদী। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

‘অবিশ্বাসী’ এবং রানি সুথিদা ভাজিরালংকর্ন আয়ুধ্যার সমমর্যাদা দাবি করায় সম্প্রতি রাজকীয় উপাধি এবং সামরিক পদমর্যাদা পাওয়া এক নারী দেহরক্ষীর সব পদবি কেড়ে নিয়েছেন থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার গভীর রাতে রাজ কর্তৃপক্ষ এ কথার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এর আগে প্রায় ১০০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সিনিনাত ওংভাজিরাপাকদী নামের ওই নারীকে রাজকীয় অভিজাত দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োগ দেন থাই রাজা। সেই ঘোষণার কয়েক মাসের মধ্যে রানির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জেরে সিনিনাতের পদবি কেড়ে নেওয়া হলো।

৭০ বছর সিংহাসনে থাকার পর ২০১৬ সালের অক্টোবরে মহা ভাজিরালংকর্নের বাবা রাজা ভুমিবল আদুলাদেজ মারা যান। আদুলাদেজের মৃত্যুর ৫০ দিন পর নতুন রাজা হিসেবে ওই সময়ের যুবরাজ মহা ভাজিরালংকর্নের নাম ঘোষণা করা হয়। চলতি বছরের মে মাসে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসনে আরোহণ করেন। চকরি রাজবংশের দশম এই রাজা রামা এক্স নামেও পরিচিত।

রাজদরবার থেকে দুই পৃষ্ঠার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী সিনিনাত সভাসদদের জন্য নির্ধারিত আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধের বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগও আনা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাজকীয় অভিজাত দেহরক্ষী সিনিনাত অকৃতজ্ঞ। তাঁকে দেওয়া উপাধির মান তিনি রাখতে পারেননি। শুধু এই পদবিতে সন্তুষ্ট না থেকে রানির সমান মর্যাদা পেতে সব রকম চেষ্টা করেন তিনি।

রাজার বর্ষব্যাপী চলমান রাজ্যাভিষেকের অন্যতম অনুষ্ঠান রাজকীয় বজরা শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল রাজপরিবারের। তবে বৈরী আবহাওয়ার কথা উল্লেখ করে কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানটি আগামী বছর পর্যন্ত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সিংহাসনে বসার কয়েক দিন আগে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর উপপ্রধান সুথিদাকে বিয়ে করেন থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন। বিয়ের পরই স্ত্রীকে নতুন রানি উপাধি দিয়েছেন তিনি। এর আগে রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন বিয়ে করেছিলেন তিনবার। তিন বিয়েতেই বিচ্ছেদ ঘটেছে। তাঁর সন্তানের সংখ্যা সাত।