কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র

দুই মাস পেরিয়ে গেলেও স্বাভাবিক হয়নি কাশ্মীরের পরিস্থিতি। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
দুই মাস পেরিয়ে গেলেও স্বাভাবিক হয়নি কাশ্মীরের পরিস্থিতি। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করার সিদ্ধান্তের পেছনে ভারতের উন্নয়ন অ্যাজেন্ডাকে সমর্থন জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে কাশ্মীর উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারত ৫ আগস্ট বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

ভারত সরকারের যুক্তি, দেশটির অর্থনৈতিক বিকাশ বাড়াতে, দুর্নীতি হ্রাস করতে এবং জম্মু-কাশ্মীরে সব আইন, বিশেষত নারী ও সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে আইন প্রয়োগে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়েছে।

মার্কিন হাউসের বিদেশবিষয়ক কমিটির এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং ননপ্রলিফারেশন সম্পর্কিত উপকমিটিকে গতকাল সোমবার কাশ্মীর পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্রিফ করেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ভারপ্রাপ্ত সহকারী সচিব অ্যালিস জি ওয়েলস। ওয়েলসের বরাত দিয়ে এনডিটিভি অনলাইনে জানানো হয়, ভারতের অ্যাজেন্ডাকে সমর্থন করলেও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর কাশ্মীর উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। ৫ আগস্ট থেকে উপত্যকার প্রায় ৮০ লাখ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।

ওয়েলস বলেন, জম্মু ও লাদাখের অবস্থার উন্নতি হলেও উপত্যকাটি এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জম্মু ও কাশ্মীরের তিন সাবেক মুখ্যমন্ত্রীসহ সাধারণ নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের বন্দিদশা নিয়ে ভারত সরকারের প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্কসহ পরিষেবাগুলো সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছি।’

উপত্যকায় পোস্টপেইড মোবাইল সেবা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। তবে ইন্টারনেট সংযোগ এখনো বন্ধই আছে।

ওয়েলস বলেন, বিদেশি ও স্থানীয় সাংবাদিকেরা জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে ক্রমাগত কাজ করছেন। তবে নিরাপত্তাজনিত নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে তারা নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এই কূটনীতিক বলেছেন, ‘যদিও সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা কঠিন, আমরা ধারণা করছি দুই মাস ধরে কাশ্মীর উপত্যকায় কয়েক হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে অবশ্য তাঁদের অনেককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’

ওয়েলস বলেছেন, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট ১৪ নভেম্বর কাশ্মীর সম্পর্কিত আবেদনের শুনানির পরিকল্পনা করছেন। জম্মু ও কাশ্মীরের হাইকোর্ট মামলাগুলো পর্যালোচনা করছেন।