ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিক্ষোভের ঘোষণা

জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল (জেইউআই-এফ) দলের নেতা ফজল-উর-রেহমান। ছবি: রয়টার্স
জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল (জেইউআই-এফ) দলের নেতা ফজল-উর-রেহমান। ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির অন্যতম প্রধান ধর্মীয় দলের নেতা। দেশটির সরকার যখন অর্থনীতি স্থিতিশীল করতে লড়ছে, এমন পরিস্থিতিতে এ ধরনের বিক্ষোভ রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

রক্ষণশীল ধর্মীয় সংগঠন জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল (জেইউআই-এফ) দলের নেতা ফজল-উর-রেহমানের ইমরান খান বিরোধী এই প্রচারণায় সমর্থন জানিয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এবং বেনজির ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলো। তবে কোনো ধরনের অসাংবিধানিক পদক্ষেপকে তারা সমর্থন করবে না বলে জানিয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, ফজল-উর-রেহমান বলেছেন, ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া ইমরান খানের সরকার ‘অযোগ্য ও অবৈধ’। গত বছর কারচুপির নির্বাচন করে সামরিক সংস্থা তাঁকে ক্ষমতায় বসিয়েছে বলে দাবি করেন এই নেতা।

রেহমান রাজধানীতে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা ইসলামাবাদে পদযাত্রার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাদের শাসনের অধিকার নেই, অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ দাবিই আমাদের আন্দোলনের মুখ্য উদ্দেশ্য।’

দুর্নীতির ইতি টেনে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতিতে ইমরান খান গত বছরের নির্বাচনে জিতেছিলেন। তবে ইতিমধ্যে দেশটির অর্থনৈতিক মন্দা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। জুলাই মাসে সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে ছয় বিলিয়ন ডলার সহায়তা নিতে রাজি হয়েছে।

ইমরান খান সমালোচকদের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, তিনি মোটেও সামরিক বাহিনী সমর্থিত নন। পাকিস্তানের রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপের দীর্ঘ রেকর্ড রয়েছে। তবে সেনাবাহিনী বেসামরিক রাজনীতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে।

নির্বাচন কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালের ভোটে কারচুপির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

প্রবীণ রাজনীতিবিদ রেহমান জাতীয় সংসদ ও প্রাদেশিক পরিষদের বেশ কয়েকটি আসনে জোটের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে দেশজুড়ে অসংখ্য ধর্মীয় বিদ্যালয় বা মাদ্রাসায় সমর্থন আদায়ের দক্ষতা তাঁর প্রভাব বিস্তারের প্রধান উৎস।

সরকার বলছে, তারা বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। রাজধানীতে কারও স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে তারা।

সোমবার তথ্যমন্ত্রী ফেরদৌস আশিক আওয়ান বলেছেন, সহিংসতাবিরোধী পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র সরকারেরই আছে। তিনি বলেন, বিতর্কিত কাশ্মীর অঞ্চল নিয়ে পুরোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা চলাকালে দেশকে অস্থিতিশীল করা বিরোধী দলের ঠিক হচ্ছে না।