ভারতে অপারেটরদের দিতে হবে ১ লাখ ৩৩ হাজার কোটি রুপি

ভারতী এয়ারটেলের লোগো। ছবি: আইএএনএস
ভারতী এয়ারটেলের লোগো। ছবি: আইএএনএস

ভারতের কয়েকটি টেলিকম অপারেটরের কাছ থেকে ১ লাখ ৩৩ হাজার কোটি রুপি আদায়ের অনুমতি দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ভারতী এয়ারটেল, রিলায়েন্স কমিউনিকেশন ও ভোডাফোন আইডিয়ার কাছ থেকে ভারতের টেলিকম বিভাগ (ডিওটি) অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ (এজিআর) হিসেবে ওই অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। আজ বৃহস্পতিবার টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদন খারিজ করে পাওনা পরিশোধে ছয় মাসের সময় বেঁধে দেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

আদালত বলেছেন, অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউয়ের মধ্যে লাইসেন্স ফি ছাড়াও অন্যান্য বিষয় যুক্ত হবে। তবে এক্ষেত্রে মূল সম্পদ বিক্রি ও ইন্সুরেন্স দাবির বিষয়টি পড়বে না।

আদালতের এ রায় ভারতের টেলিকম বিভাগের জন্য বড় স্বস্তির খবর হয়ে এলেও টেলিকম অপারেটরদের কাছে বড় ধাক্কা হয়েই এসেছে। ভারতে টেলিকম অপারেটরদের এখন তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হচ্ছে।

ভারতী এয়ারটেলের এক মুখপাত্র বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আমরা হতাশ। এজিআরের সংজ্ঞা নিয়ে ডিওটি ও টেলিকম অপারেটররা ২০০৫ সাল থেকে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। টেলিকম খাতের উন্নয়নে ওই গ্রাহককে উন্নত সেবা দিতে কোটি কোটি রুপি অর্থ বিনিয়োগ করেছে অপারেটররা। এ খাত যখন আর্থিক সমস্যায় পড়েছে তখনই এ ধরনের সিদ্ধান্ত আসা এ খাতটি টালমাটাল হয়ে পড়বে।

আদালতের এ রায় ১৫টি পুরোনো অপারেটরের ওপরে প্রভাব ফেলবে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে চালু থাকা দুটি বড় অপারেটরের ওপর প্রভাব পড়বে সবচেয়ে বেশি। এ সিদ্ধান্তের প্রভাব নিয়ে সরকারকে অবশ্যই পর্যালোচনা করতে হবে এবং আর্থিক বোঝা দূর করার মানানসই পদ্ধতি বের করতে হবে।

ভারতের টেলিকম বিভাগ দাবি করেছে, ৯২ হাজার কোটি রুপি লাইসেন্স ফি বাবদ ও ৪১ হাজার কোটি রুপি স্পেকট্রাম ব্যবহার ফি হিসেবে ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া ও রিলায়েন্সের কাছ থেকে পাবে তারা।

টেলিকম কোম্পানিগুলোর যুক্তি হচ্ছে, টেলিকম ছাড়া অন্যান্য রাজস্ব যেমন ভাড়া, ইন্টারনেট থেকে আয় ও ডিভিডেন্টের আয় এজিআর থেকে বাদ দিতে হবে।

২০০৬ সালে টেলিকম ডিসপিউট সেটেলমেন্ট অ্যান্ড অ্যাপিলেট ট্রাইবুন্যাল এজিআরের বিষয়টি টেলিকম কোম্পানিগুলোর পক্ষে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।