আবার আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব তুলছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বিচ্ছেদ কার্যকর করা নিয়ে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসনে আবারও আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব তুলবেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। হাউস অব কমন্সের নেতা জ্যাকব রিচ মগ জানিয়েছেন, আগামী সোমবার পার্লামেন্টে এ প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। সরকার আগামী ১২ ডিসেম্বর এ নির্বাচন আয়োজন করতে চায়।

দেশটিতে ২০১১ সালে প্রণীত ‘ফিক্সড টার্ম পার্লামেন্ট অ্যাক্ট’ অনুযায়ী আগাম নির্বাচন আয়োজনে দুই–তৃতীয়াংশ আইনপ্রণেতার সমর্থন প্রয়োজন। ইতিপূর্বে দুই দফা চেষ্টা করে সেই সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়েছেন বরিস। প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি বলে আসছে, ইইউর সঙ্গে চুক্তিবিহীন বিচ্ছেদ ঘটবে না—এমন নিশ্চয়তা পাওয়ার পর তাঁরা আগাম নির্বাচনে সমর্থন দেবেন।

১২ ডিসেম্বর নির্বাচন আয়োজনে সমর্থন চেয়ে বৃহস্পতিবার বিরোধীদলীয় নেতা জেরেমি করবিনেকে একটি চিঠি লেখেন প্রধানমন্ত্রী বরিস। চিঠিতে তিনি বলেন, করবিনের উৎসাহে পার্লামেন্ট সরকারের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা আটকে দিয়েছে। আগাম নির্বাচনেও সমর্থন দেয়নি। কিন্তু চলমান অচলাবস্থার নিরসন হওয়া জরুরি। এই পার্লামেন্টের উচিত ব্রেক্সিট কার্যকর করা।

বরিস আরও বলেন, আগাম নির্বাচনের নতুন প্রস্তাবে সমর্থন দিলে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ব্রেক্সিট বিল (উইথড্রোয়াল অ্যাগ্রিমেন্ট বিল) নিয়ে সংসদে বিতর্কের সুযোগ দেওয়া হবে।

ইইউর সঙ্গে বরিস যে বিচ্ছেদ চুক্তি সম্পাদন করেছেন, সেটিকে আইনি রূপ দেবে এই বিল। ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকর করার স্বার্থে তিন দিনের মধ্যে বিলটির কার্যক্রম সম্পন্ন করার প্রস্তাব দিয়েছিল সরকার। পার্লামেন্ট সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বিলের কার্যক্রম স্থগিত করেন বরিস। এর আগেই পার্লামেন্টের প্রণীত আইনের কারণে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্রেক্সিট পিছিয়ে দেওয়ার আবদেন করতে বাধ্য হন বরিস।

ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক বিচ্ছেদের দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন। শুক্রবার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানানোর কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা পিছিয়ে যায়। এখন ইইউ বলছে, আগামী সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আগাম নির্বাচনের বিষয়ে কী ঘটে, তা দেখে তবে তারা সিদ্ধান্ত জানাবে।