বিধায়কদের ৬২ শতাংশের বিরুদ্ধে ঝুলছে ফৌজদারি মামলা

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত রাজ্য বিধানসভার ২৮৮টি আসনের জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে ১৭৬ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধেই ফৌজদারি অপরাধে মামলা রয়েছে। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দেওয়া হলফনামা (অ্যাফিডেভিট) পর্যালোচনা করে এই তথ্য দিয়েছে ভারতের অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফরমস বা এডিআর।

২৮৮ জন বিধায়কের মধ্যে ২৮৫ জনের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পেয়েছে তারা। ৩ জন প্রার্থীর হলফনামায় পূর্ণ তথ্য মেলেনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মহারাষ্ট্রের নবনির্বাচিত বিধায়কদের ৬২ শতাংশ জয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের মামলা ঝুলছে। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ বা ১১৩ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ।

ভারতের ৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে রাজ্য বিধানসভায় আসনসংখ্যার নিরিখে এখন শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এখানের রাজ্য বিধানসভার আসনসংখ্যা ২৯৪। আর দ্বিতীয় স্থানে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্য। মহারাষ্ট্রের বিধানসভার আসনসংখ্যা ২৮৮। মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাই ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত।

বর্তমানে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতায় আছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফরনবিশ। তবে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ফরনবিশ আর সরকার গড়ার মতো আসন পাননি। সরকার গড়তে হলে তাঁকে তাঁদের শরিক শিবসেনাকে নিয়ে করতে হবে। যেমনটা করেছিল ২০১৪ সালে।

এবারের নির্বাচনে ২৮৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি জয়ী হয় ১০৫টি আসনে। শিবসেনা ৫৬, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি ৫৪, কংগ্রেস ৪৪ এবং এমএনএস একটি আসনে জয়ী হয়। ফলে বিজেপি বা কংগ্রেস কারোর পক্ষে একা সরকার গড়ার মতো আসন জোটেনি। বিজেপি চাইছে, শিবসেনার সঙ্গে জোট করতে, কিন্তু বাদ সেধেছে শিবসেনাই। তারা ঘোষণা দিয়েছে, তারা বিজেপির সঙ্গে জোট সরকার গড়লেও এবার ক্ষমতার আধাআধি ভাগ দিতে হবে শিবসেনাকে।

শিবসেনা দাবি করেছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মেয়াদ হবে আড়াই বছর করে। আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকবেন বিজেপি ও শিবসেনার প্রতিনিধিরা। তবে এখনো এই শর্ত মেনে নেয়নি বিজেপি। হরিয়ানার সঙ্গে মহারাষ্ট্রের নির্বাচন একই সঙ্গে হলেও হরিয়ানায় জোট সরকার গড়েছে বিজেপি, কিন্তু মহারাষ্ট্রের সরকার গড়া নিয়ে এখনো জটিলতা কাটেনি।