ব্রেক্সিট নয়, আগাম নির্বাচনের পথেই যুক্তরাজ্য

বরিস জনসন। এএফপি ফাইল ছবি
বরিস জনসন। এএফপি ফাইল ছবি

আপাতত ব্রেক্সিট (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ) কার্যকর করার চিন্তা বাদ। আগাম সাধারণ নির্বাচন আয়োজনে উঠেপড়ে লেগেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। গত সোমবার তাঁর উত্থাপিত আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব তৃতীয়বারের মতো প্রত্যাখ্যান করে পার্লামেন্ট। তাই আগামী ১২ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য গতকাল মঙ্গলবার আবারও প্রস্তাব তোলেন। আগামী নির্বাচনকে সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছে বিরোধী লেবার পার্টিও। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গতকাল ওই প্রস্তাবের ওপর পার্লামেন্টে আলোচনা চলছিল।

পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার ধারেকাছেও নেই ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দল। সরকারের এমন দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বারবার ব্রেক্সিট কার্যকরের উদ্যোগ আটকে দিয়েছে পার্লামেন্ট। সর্বশেষ বরিসের সম্পাদিত ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনে সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় মেনে নেয়নি পার্লামেন্ট। বিরোধীদের উদ্যোগে প্রণীত এক আইনের কারণে বিচ্ছেদের দিনক্ষণ তিন মাস পেছানোর আবেদন করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী বরিস। সে আবেদন মোতাবেক সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি ব্রেক্সিটের নতুন দিনক্ষণ নির্ধারণ করে। ফলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এই আলোচিত বিচ্ছেদ আর ঘটছে না।

ব্রেক্সিট যেহেতু পিছিয়ে যাচ্ছে, সেহেতু আগাম নির্বাচন দেওয়া ছাড়া প্রধানমন্ত্রী বরিসের হাতে তেমন বিকল্প নেই। তাই আগাম নির্বাচন আয়োজনের জন্য সোমবার পার্লামেন্টে প্রস্তাব তোলেন বরিস। প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট পড়ে ২৯৯, বিপক্ষে ৭০। লেবাব পার্টিসহ অন্যান্য বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতার বেশির ভাগই ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন। ফলে দেশটির ফিক্সড টার্ম পার্লামেন্ট অ্যাক্টের শর্ত অনুযায়ী দুই–তৃতীয়াংশ আইনপ্রণেতার সমর্থন (মোট ৬৫০ সদস্যের ৪৩৩) পেতে ব্যর্থ হয় সরকার।

প্রস্তাবটি পাস না হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই আইনসভা অকার্যকর। তাঁরা গণভোটে দেওয়া ব্রেক্সিটের রায় কার্যকরে ব্যর্থ। যেকোনো উপায়ে এই অচলাবস্থার অবসান করতে হবে।