কাশ্মীরে পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকদের মৃত্যুতে মমতা ও মেহবুবার নিন্দা

থমথমে হয়ে আছে গোটা কাশ্মীর। ছবি: রয়টার্স
থমথমে হয়ে আছে গোটা কাশ্মীর। ছবি: রয়টার্স

কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার পাঁচ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন কামরুদ্দিন শেখ, মুর্শিনাম শেখ, রফিক আহমেদ শেখ, নইমুদ্দিন ও রফিকুল আলম। শ্রমিকেরা সবাই পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার ব্রাহ্মণী গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

এক টুইট বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘কাশ্মীরে যেভাবে নিরপরাধ শ্রমিকদের মারা হয়েছে, তাতে আমি স্তম্ভিত। নিহত শ্রমিকেরা সবাই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। কোনো রকমের সান্ত্বনা নিহত পরিবারের শোক কমাতে পারবে না। নিহত পরিবারকে রাজ্য সরকার সাহায্য করবে।’

কাজের সন্ধানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কাশ্মীরে এসেছিলেন ওই শ্রমিকেরা। প্রতিদিনের মতো গতকাল মঙ্গলবারও তাঁরা রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাঁও এলাকার কাটারসু গ্রামে। জঙ্গিরা এ সময় হঠাৎ ওই শ্রমিকদের ওপর চড়াও হয়। জঙ্গিদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তাঁরা। খবর পেয়ে দক্ষিণ কাশ্মীরের ডিআইজির নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। সেখান থেকে পুলিশ এই পাঁচ শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করে।

রাজ্য পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিং পাঁচ শ্রমিক হত্যার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ওই শ্রমিকেরা দৈনিকভিত্তিতে কাজ করতে ওখানে এসেছিলেন। এই জঙ্গি হামলার পেছনে পাকিস্তানের মদদ রয়েছে।

অন্যদিকে একই দিন পৃথক আরেকটি ঘটনায় কাতরাসি গ্রামে মুর্শিদাবাদের আরেক শ্রমিক জহুরুদ্দিন জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জহুরুদ্দিন কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন। থাকতেন একটি ভাড়া বাড়িতে। সেখানেই হামলা চালায় ওই জঙ্গিরা। জঙ্গিরা হামলা চালালে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে আসতে পারলেও জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে আহত হন।

অন্যদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘ভয়ংকর ঘটনা। উপত্যকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা কেমন, তা ভেবে দেখা উচিত। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর জঙ্গি হামলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার বদলে জঙ্গি হামলা বেড়েই চলেছে।’