কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে বন্ধুকে বাঁচাল শিশুটি

প্রতীকী ছবি। এএফপি
প্রতীকী ছবি। এএফপি

কয়েক বন্ধু মিলে একসঙ্গে সাঁতার কাটছিল। সাঁতার কাটার একপর্যায়ে হঠাৎ কুমির আক্রমণ করে বসে এক শিশুকে। বান্ধবীকে বাঁচাতে মরিয়া আরেক শিশু চড়ে বসে কুমিরের ওপর। কুমিরটির চোখে ক্রমাগত আঘাত করে শেষ পর্যন্ত বান্ধবীকে বাঁচিয়ে নিয়েই তীরে ফিরেছে সে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাক লাগানো এই ঘটনাটি ঘটেছে জিম্বাবুয়ের সিন্ডেরেলা গ্রামে। দারুণ সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে বান্ধবীকে বাঁচিয়ে আনা সেই শিশুর নাম রেবেকা মুনকোম্বে। আর কুমিরের আক্রমণের মুখে পড়া ৯ বছরের শিশুটির নাম লাতোয়া মুওয়ানি। কুমিরটি লাতোয়ার হাতে ও পায়ে কামড়ে ধরে। সাহায্য চেয়ে চিৎকার করার সঙ্গে সঙ্গে বান্ধবীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে রেবেকা। নিজের বিপদের কথা না ভেবে কুমিরটির পিঠের ওপর চড়ে বসে সে। এরপর ক্রমাগতভাবে কুমিরটির চোখে গুঁতো দিতে থাকে, যেন কুমিরটি লাতোয়াকে ছেড়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে রেবেকা, জীবিত অবস্থায় ফেরত এনেছে বান্ধবীকে।

অথচ দারুণ বিপজ্জনক এই কাজে বিপদ হতে পারত রেবেকার নিজেরও। কিন্তু ওই মুহূর্তে নিজের জীবনের চেয়ে দায়িত্ববোধই বড় হয়ে উঠেছিল তার কাছে, ‘যারা সাঁতার কাটছিলাম, তাদের মধ্যে আমিই বয়সে সবার বড় ছিলাম। ওই মুহূর্তে আমি তাই শুধু ওকে বাঁচাতে চাইছিলাম। কুমিরের হাত থেকে ছাড়ানোর পর সাঁতরে ওকে তীরে নিয়ে আসি। এরপর কুমিরটি আর আমাদের আক্রমণ করেনি।’

এই ঘটনায় রেবেকা কোনো চোট পায়নি। কুমিরের আক্রমণের শিকার হওয়া লাতোয়াকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মেয়েকে ফিরে পেয়ে লাতোয়ার বাবা বলেছেন, ‘আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ। আশা করছি, লাতোয়াকে শিগগিরই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’